সংক্ষিপ্ত

আইনজীবী বলেন মন্ত্রীর ঘরের পাশেই একাধিক এমন মিটিং হয়েছে, যার সম্পর্কে জানেন পার্থ। পশ্চিমবঙ্গে চাকরি দেওয়ার জন্য যে টাকার খেলা চলছে, সেটা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অজানা নয়। 

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরার নির্দেশ। বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দিতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এদিকে এসএসসি দুর্নীতি মামলার প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্য়ায় বলেন যে রিপোর্টে পরিষ্কার পশ্চিমবঙ্গে টাকা নিয়ে চাকরি পেয়েছে। পার্থকে CBI-তলব প্রসঙ্গে ওই আইনজীবী আরও বলেন, তৃণমূলের এত বড়ো মাপের নেতা তাঁর নামে সরাসরি টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যোগসূত্রটা অবশ্যই জানতে হবে। তাই পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রয়োজন। 

এদিন ওই আইনজীবী বলেন মন্ত্রীর ঘরের পাশেই একাধিক এমন মিটিং হয়েছে, যার সম্পর্কে জানেন পার্থ। পশ্চিমবঙ্গে চাকরি দেওয়ার জন্য যে টাকার খেলা চলছে, সেটা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অজানা নয়। যে টাকা নিয়ে চাকরি মিলেছে, সেই টাকা কোথায় কোথায় কার কাছে গিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা দরকার। 

যাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় পালাতে না পারেন, তারজন্যই হাইকোর্টের হাসপাতালে ভর্তি না হওয়ার নির্দেশ বলে এদিন জানান সব্যসাচী চট্টোপাধ্য়ায়। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিকেল ৫টার সিবিআই দফতর অর্থাৎ নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে। পাশপাশি হাইকোর্টের তরফে এও জানানো হয় যে, হাজিরার আগে কোনওভাবে এসএসকেমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে পারবেন না। প্রয়োজন মনে করলে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতারও করতে পারে। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাতে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন এসএসসি-র গ্রুপ ডি পর্যায়ে নবম এবং দশম শ্রেণির নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ। আর পরিস্থিতির মধ্যেই একেবারে আগুনে ঘি ঢেলে দেন দলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। দুর্নীতির জন্য বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নয়, বরং তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থকেই দায়ী করেছিলেন তিনি। 

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী বলেন ২০১১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যিনি মুখ্যমন্ত্রী, তার ক্যাবিনেটে এত বড় দুর্নীতি। সুতরাং জবাব দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকেও। এসএসসির যোগ্য প্রার্থীরা ও রাজ্যের সব বেকার যুবক যুবতীদের কাছে এই জবাবদিহি মুখ্যমন্ত্রীকে করতে হবে বলে দাবি করা হয়েছে।