সংক্ষিপ্ত
- নিষেধ না মেনে বড় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে
- আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তাকে উপেক্ষা করে উত্তাল সমুদ্রে গিয়ে হারিয়েই গিয়েছেন ২৭ জন মৎস্যজীবী
- মৃত্য়ুর মিছিল আটকাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করল সরকার
নিষেধ না মেনে বড় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তাকে উপেক্ষা করে উত্তাল সমুদ্রে গিয়ে হারিয়েই গিয়েছেন ২৭ জন মৎস্যজীবী। প্রাণের মায়া না করে বারবার ভয়াল সমুদ্রে চলে যাওয়া এই জেলেদের গতি রোধ করতেই শাস্তির কথা ঘোষণা করল রাজ্য় সরকার।
গত বছর রাজ্য়র নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে সমুদ্রে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন ৩৯ জন মৎস্যজীবী। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়নি মৎস্যজীবীরা। তার প্রমাণ মিলেছে গত সপ্তাহেই।
আবহাওয়া দফতরের নিষেধাজ্ঞাকে অগ্রাহ্য করে সমুদ্রে গিয়ে গত শনিবার দিকভ্রান্ত হয়ে পড়েন মৎস্যজীবীরা। উত্তাল সমু্দ্রের ঢেউয়ের দাপটে বাংলাদেশের হাঁড়িভাঙার চরের কাছে জল ঢুকতে শুরু করে চারটি ট্রলারে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার মধ্যে তিনটি ট্রলার ডুবে গিয়েছে। এফবি দশভূজা এবং এফবি নয়ন নামে দু'টি ট্রলারের মোট ২৭জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ নেই।
আরও পড়ুনঃ নিষেধ অগ্রাহ্য করেই মাঝ সমুদ্রে, ট্রলার ডুবে নিখোঁজ কাকদ্বীপের বহু মৎস্যজীবী
এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে রাজ্য সরকার সাফ জানাচ্ছে, সরকারের নিষেধাজ্ঞা না মেনে সমুদ্রে গেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে। প্রয়োজনে ট্রলার মালিক ও মৎস্যজীবী সংগঠনের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন থেকে শুরু হয়েছে নজরদারি। পাশাপাশি চলতি সপ্তাহে সচেতনতা শিবিরেরও আয়োজন করা হচ্ছে। সেখান থেকে মৎস্যজীবীদের সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানাবেন সুন্দরবন রাজ্যের উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূল বরাবর উঁচু ঢেউ-এর কারণেই পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের আগামী ২৪ ঘণ্টা সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে।