সংক্ষিপ্ত
- কোষ্ঠকাঠিন্য়ের সমস্য়া এখন ঘরে-ঘরে
- পারগেটিভ খেতে অনেকই রাজি হন না
- চাইলে কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে এর মোকাবিলা করা যায়
- প্রতিদিন কিছু নিয়ম মেনে চললেই এর হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়
যত বেশি স্ট্রেস বেড়ে চলেছে, তত বেশি বেড়ে চলেছে পেটের সমস্য়া। যার অন্য়তম হল কোষ্ঠকাঠিন্য়। এই কোষ্ঠকাঠিন্য়ের জ্বালায় আজকাল অনেকেই অতিষ্ঠ। কিন্তু মুশকিল, হল অনেকেই বাজারচলতি বিজ্ঞাপন দেখে বা পাড়ার ওষুধের দোকানদারের কথা শুনে কোষ্ঠকাঠিন্য়ের মোকাবিলা করতে চান। আর তাতেই বাধে গোল।
প্রথমেই বলে রাখা ভাল, কোষ্ঠকাঠিন্য়ের সমস্য়ায় আজকাল কমবেশি সবাই ভুগছেন। তাই আসুন কতগুলো সাধারণ নিয়ম জেনে রাখা যাক, কী করে এর মোকাবিলা করা যায়। প্রথমেই বলি, খুব বেশি না-হলেও যতটুকু সম্ভব হয় ততটুকু শাক-সবজি খান নিয়মিত। রুটি খেলে ময়দার নয়, বরং হাতেগড়া আটার রুটি খান। বাইরের কেক-পেস্ট্রি, পিৎসা-বার্গার যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। রোল-চাউমিন মাঝেমধ্য়ে চলতে পারে, কিন্তু ঘনঘন কখনই নয়। কারণ, জেনে রাখবেন, এই সবকিছুর মধ্য়ে দিয়ে আপনার শরীরে যা যাচ্ছে তা হল ময়দা। বলাই বাহুল্য়, ময়দা কোষ্ঠকাঠিন্য় বাড়ায় আর আটা তা কমায়।
আপনার যদি দুধ খেলে হজমের অসুবিধে না-হয়, অর্থাৎ আপনি যদি ল্য়াকটোজ ইনটলারেন্ট না-হন, তাহলে দিনের মধ্য়ে যে কোনও সময়ে গরম দুধের ওপর খই ফেলে দিয়ে খান। কোষ্ঠকাঠিন্য়ে দারুণ উপকার পাবেন। মনে করবেন না, খই খাচ্ছেন মানেই আপনি বৃদ্ধ হয়ে গেলেন। আর হ্য়াঁ, যদি দুধ সহ্য় না-হয় তাহলে টকদইয়ের সঙ্গে অল্প করে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় কিছু মিশিয়ে খই দিয়ে খান। খুব উপকার পাবেন।
আপনি দুধ খান বা না-খান, টকদই অবশ্য়ই খান। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক। এটি খাবার হজম করিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য়ের মোকাবিলা করে।
দিনে অন্তত গোটাতিনেক খেজুর খান রোজ। কোষ্ঠকাঠিন্য়ে খুব ভাল কাজ দেয়। এছাড়াও খেজুরের অনেক উপকারিতা রয়েছে।
আপনার যদি ডায়াবেটিসের সমস্য়া না-থাকে, তাহলে রোজ সকালে (বা অন্য় যে কোনও সময়ে) একটা করে কলা খান। অন্য় ফল খান বা না-খান, কলা খেতে কিন্তু ভুলবেন না। তবে রাতের দিকে কলা এড়িয়ে চলাই ভাল। তাতে করে মোটা হওয়ার সমস্য়া দেখা দিতে পারে।
যদি এর পরে কোষ্ঠকাঠিন্য়ের সমস্য়া কমে যায় তো ভাল। নইলে নিয়মিত রাতে ইসপগুলের ভুসি খান। মনে রাখবেন, ইসপগুল কিন্তু পুরোপুরি প্রাকৃতিক। তাই ভাববেন না, এতে অভ্য়েস তৈরি হয়ে গেলে পরে কোনও সমস্য়া হবে। জেনে রাখবেন এর কিন্তু কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
সবশেষে বলি, স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন। দরকার হলে প্রাণায়াম করুন। আর প্রতিদিন যাতে নিয়ম করে আটঘণ্টা ভাল ঘুম হয়, তা সুনিশ্চিত করুন।