সংক্ষিপ্ত

হাওড়া ফেরি ঘাটের জেটির একাংশও ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গিয়েছে। দুর্যোগের কারণে হাওড়া জেটির সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ের(cyclone Jawad) তীব্র প্রভাব দেখা না গেলেও নিম্নচাপের য়ে প্রভাব ক্রমশ স্পষ্ট হবে সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। শনিবারের পর রবিবার সকাল থেকেই ক্রমেই আরও ঘন মেঘের দল ভিড় জমায় বাংলার আকাশে। কমবেশি প্রতিটা জেলায় চলছে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি(Heavy Rain)। মুষলধারায় ডুবছে হাওড়া কলকাতাও(Kolkata)। এমতাবস্থায় প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হল ফেরি সার্ভিস(Howrah-Kolkata jetty service closed)। হুগলি(Hooghly) নদী জলপথ পরিবহন সমিতি এবং ভূতল পরিবহন সংস্থা সূত্রে খবর রিভার ট্রাফিক পুলিশ এবং প্রশাসনের নির্দেশে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে হাওড়া ফেরিঘাটে দেখা গেল একাধিক ভেসেলকে জেটির সঙ্গে মোটা দড়ি দিয়ে বাঁধা রয়েছে। বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা এড়াতেই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে এই কাজ করা হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে। এদিকে সকাল থেকে টানা বর্ষণ এবং ভরা কোটালের কারণে গঙ্গার জল স্তর বেড়ে গিয়েছে। হাওড়া ফেরি ঘাটের জেটির একাংশও ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গিয়েছে। দুর্যোগের কারণে হাওড়া জেটির সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। অধিকাংশ কর্মী ভেসেল দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস আপাতত বন্ধ থাকবে।

আরও পড়ুন-সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির, জাওয়াদের হাত থেকে বাঁচতে হিন্দু-মুসলিম একযোগে চলছে পুজোপাঠ

এদিকে ভরা কোটাল ও প্রবল বৃষ্টিৎ জেরে সকালে মৌসুনী দ্বীপে চিনাই নদীর বাঁধের একাংশ জলের তোড়ে ভেঙে যায়। প্লাবিত হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। অন্যদিকে প্রবল জলের তোড় সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার জেরে কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যায় একটি পণ্যবাহী নৌকা। এদিকে কোনোরকম দুর্ঘটনা এড়াতে হাওড়া-কলকাতার আগেই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে হুগলী জেলা প্রশাসন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইতিমধ্যেই মাইকে করে প্রচার করে বেড়ানো হয়েছে এলাকায়। শনিবার থেকেই ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

আরও পড়ুন-এক ‘জাওয়াদে’ রক্ষা নেই সঙ্গে দোসর ভরা কোটাল, কেন ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছে হাওয়া অফিস

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ো হওয়ার পাশাপাশি ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে উপকূলবর্তী জেলা-সহ রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। ইতিমধ্যেই সুন্দরবন, কাকদ্বীপ প্রভৃতি এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টি চলছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলীতেও। অন্যদিকে দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক সাগর পাড়ের প্রশাসন। কোনও পর্যটককেই সমুদ্রের কাছে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না প্রশাসন। দীঘা ছাড়া একই কড়াকড়ি চলছে তালশারি, মন্দারমণিতেও।