রবীন্দ্রভারতীর ঘটনায় এবার মুখ খুললেন প্রাক্তনীরাও সংগীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়লেন ইমন বললেন, আমাদের সময়ে আমরাই আয়োজন করতাম বসন্তোৎসবের তখন এমন ঘটনা কল্পনাই করতে পারতাম না
কই, কিছুদিন আগেও তো এমন ছিল না।এই কয়েকবছরেই কি তাহলে এতটা পরিবর্তন? রবীন্দ্রভারতীকে ঘিরে গত ২৪ ঘণ্টায় ঘুরপাক খাচ্ছে এই একটাই প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয় চত্বরে বসন্তোৎসবে তিন ছাত্রীর উন্মুক্ত পিঠে ররীন্দ্রসঙ্গীতকে যৌনভাবে বিকৃত করে লেখা হয়েছিল। সেই ছবি প্রকাশ্য়ে আসতেই রাজ্য়জুড়ে হইচই পড়ে যায়।খাস রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের মধ্য়ে যদি এই ছবি দেখা যায়, তাহলে অন্য়ত্র কী চলছে তা ভেবে কার্যত শিউরে উঠেছেন প্রত্য়েকে। যদিও উপাচার্য সব্য়সাচী বসুরায়চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রচুর বহিরাগত এসেছিল দোল উৎসবে, তাই ওই পড়ুয়াদের আলাদা করে চিহ্নিত করা প্রায় অসম্ভব।অবশ্য় দুজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে শুক্রবার। একজন চন্দননগর ও অন্য়জন চুঁচুড়ার।
এমতাবস্থায় সবচেয়ে বেশি মুখ পুড়েছে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রাক্তনীদের।তাঁদের অনেকেরই বক্তব্য়, খুব বেশি বছর আগের কথা নয়, মাত্র কয়েকবছর আগেও এই ছবি কল্পনা করা যেত না সেখানে। অনেকেই অভিযোগ করছেন, গত বছর সেখানে দোল উৎসবে রবীন্দ্রভারতীতে ঢালাও মদের আয়োজন হয়েছিল।এবার আরও একধাপ এগিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে এই কদর্যতার পরিচয় দিলেন কিছু পড়ুয়া।প্রাক্তনীদের মতে, এই পরিবর্তনটা একেবারে হাতে গোনা কয়েকবছরের মধ্য়ে হয়েছে।তাছাড়া, জোড়াসাঁকো থেকে বিটি রোড ক্য়াম্পাসে দোল উৎসব উঠে যাওয়ার পরই সেই আগের সেই পরিবেশ হারিয়ে গিয়েছে। ক্রমশ ঘুণপোকা ধরেছে বসন্তোৎসবের সংস্কৃতিতে।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রাক্তনীসংগীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী মুখ খুলেছেন ওই ঘটনায়।বিশ্বভারতীথেকেতিনি পাশ করে বেরিয়েছেন২০১১সালে।ঘটনায়বিস্মিতইমনও।ওঁরকথায়, "ভাষাহারিয়েফেলেছি।২০১১সালঅবধিআমিওওখানেপড়েছি।ছাত্রসংসদেরদায়িত্বেছিলাম।আমরাইআয়োজনকরতামবসন্তোৎসব।কিন্তুকখনওএমনঅপ্রীতিকরঘটনাঘটেনি।ন-বছরেরমধ্য়েএতপরিবর্তনদেখেঅবাকহয়েযাচ্ছি।যারাএইকাজকরেছেতাদেরবিরুদ্ধেবিশ্ববিদ্য়ালয়কর্তৃপক্ষকঠোরপদক্ষেপনিন।"
