সংক্ষিপ্ত
ভারতের প্রথম জলের তলা দিয়ে মেট্রো ছুটবে আগামী বছর। এখনই তার কাউন্টডাউন শুরু করে দিতে পারেন। সোমবারই কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন জানিয়েছে ২০২৩ সালের জুন মাসে এই সল্টলেক থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো রেল চলাচল শুরু করতে পারবে।
ভারতের প্রথম জলের তলা দিয়ে মেট্রো ছুটবে আগামী বছর। এখনই তার কাউন্টডাউন শুরু করে দিতে পারেন। সোমবারই কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন জানিয়েছে ২০২৩ সালের জুন মাসে এই সল্টলেক থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো রেল চলাচল শুরু করতে পারবে। প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে।
মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের মাধ্যমে কলকাতাকে হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। যা হুলির নদীর তলা দিয়ে চলাচল করবে মেট্রো রেল। সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ হয়ে মেট্রো রেল চলবে হাওড়া পর্যন্ত। আগামী বছর জুন মাসের মধ্যেই শিয়ালদহ থেকে হাওড়া স্টেশন হয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রো রেল চলাচল করবে।
ইস্ট - ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়ার মোট দৈর্ঘ্য ১৬.৫৫ কিলোমিটার। যারমধ্যে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ ৯.৩০ কিলোমিটার প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির হাত ধরে প্রকল্পের উদ্বোঘন হয়েছে। এই রুটে ট্রেন চলাচলই শুরু হয়েছে। এখনও বাকি রয়েছে মাত্র ৭.২৫ কিলোমিটার। যা এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে চালু করার হবে বলেও জানিয়েছেন মেট্রো রেল।
মেট্রো রেল আশা প্রকাশ করেছে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে লক্ষাধিক মানুষ স্বস্তি পাবে। কারণ হাওড়া ও শিয়ালদহ দুটি ব্যস্ততম স্টেশনকে একসঙ্গে জুড়ে দেওয়া যাবে। পাশাপাশি এসপ্ল্যানেডকেও উত্তর-দক্ষিণ লাইনের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ১৬.৫৫ কিলোমিটার। যারমধ্যে ভূগর্ভস্ত অংশের দৈর্ঘ্য ১০.৮ কিলোমিটার। টানেল তৈরি হয়েছে ৫.৮ কিলোমিটার।
প্রকল্পটি, যা আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল, টানেলিং কাজের সময় মধ্য কলকাতার বউবাজারে দুর্ঘটনার কারণে বিলম্বের সম্মুখীন হয়েছে।সেখানে একই ধরনের ঘটনার প্রায় তিন বছর পর মে মাসে ভূগর্ভস্থ কাজের সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়।
৩১ আগস্ট, ২০১৯এ, একটি টানেল বোরিং মেশিন একটি অ্যাকুইফারে আঘাত করেছিল, যার ফলে এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে পড়েছিল। যারজন্য কাজ বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। সদ্যোই উদ্বোধন হয়েছে বহু প্রতীক্ষীত শিয়ালদহ সেস্টরফাইভ মেট্রো। সমস্যা সমধান হয়েছে বহু যাত্রীর। অনেকেই কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন। দীর্ঘ দিন এই মেট্রোর অপেক্ষায় ছিলেন প্রচুর প্রচুর মানুষ।