সংক্ষিপ্ত
- মহিলাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন কনক সরকার
- তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়
- এবার শুরু হবে তদন্ত
ঘটনা এই বছরের জানুয়ারি মাসের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মন্তব্যের জেরে এদিন ফের ফিরে এল অধ্যাপক কনক সরকারের কুখ্যাত মন্তব্যের স্মৃতি। এই বছরের জানুয়ারি মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক কনক সরকারের মন্তব্য ঝড় তুলেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে রেখেন, 'বাজার থেকে কি সিলকাটা বোতল কেনেন? তেমনই ভার্জিন মহিলাকেই বিয়ে করা উচিত।'
এই মন্তব্য শুনেই নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কনক সরকারকে সাময়িক ভাবে কর্তব্য থেকে অব্যহতি দেওয়া হয় জানুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমপ্রকাশ মিশ্র সংবাদমাধ্যমকে জানান উপাচার্য সুরঞ্জন দাস কনক সরকারের বহিস্কারের ব্যপারে সম্মতিও দিয়েছেন।
সেই ঘটনা নিয়ে এত দিন পরে ফের আজ সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি বলেন, কনক সরকারের ক্যাম্পাসে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। তাঁর বিরুদ্ধে এবার আইনের পথে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি হবে বিভাগীয় তদন্ত।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার ব্যস্ততম অঞ্চলে দিনদুপুরে চলছে মধুচক্র, দেখুন ভিডিও
ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবির জুজু দেখিয়ে অভিনেত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৫৫ বছরের চিকিৎসক
ঘটনার সময়ে কনকের বিরুদ্ধে মুখ খোলে সুশীল সমাজও। তসলিমা নাসরিন তাঁর ফেসবুকে লেখেন, 'যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কনক সরকারের সমস্যাটা কী? ভার্জিন মেয়েদের তিনি তুলনা করেছেন সীল্ড বোতলের বা সীল্ড প্যাকেটের সংগে। তিনি মনে করেন বিয়ে করতে হলে সীল করা বোতল বা সীল করা প্যাকেটের মতো যে মেয়েরা আছে, তাদেরই বিয়ে করা উচিত। সীল ভাংগা কোকের বোতল যেমন আমরা কিনি না, ভার্জিন নয় এমন কোনও মেয়েকেও কোনও পুরুষের বিয়ে করা উচিত নয়।কনক সরকারের ফেসবুকে মেয়েদের সম্পর্কে এমন সব মন্তব্য পড়ে ছাত্র ছাত্রীরা বিক্ষোভ করেছে। তাঁকে অধ্যাপক পদের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ না হলে কনক সরকার যেমন অধ্যাপনার চাকরি করছিলেন, তেমন করেই যেতেন। ফেসবুকে দিনভর রাতভর ছড়িয়ে যেতেন নারীর বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা। নারীকে তিনি আসলে রক্তমাংসের মানুষ বলে মনে করেন না। তাঁর কাছে পুরুষ হলো মানুষ, আর নারী হলো যৌনাংগ, জাস্ট একটা যৌনাংগ, আর কিছু নয়।'
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য়, কনক সরকার মনে করতেন, ছাত্রছাত্রীরা সিগারেট খান, মেযেরা বিয়ের আগে যৌনতায় জড়িযে পড়েন, খোলামেলা পোশাক পরেন, এই সব কারণেই শিক্ষার মান পড়েছে যাদবপুরে। এই কথা গুলি তিনি প্রকাশ্যে বলতেন, ফেসবুকে লিখতেনও। ঘটনা সামে যাদবপুরের শিক্ষকমহল দাবি করে কনক প্রথমে তৃণমূল করত, পরে বিজেপিতে যোগদান করে সে। বলা বাহুল্য, সম্প্রতি মিটু কাণ্ডেও তার নাম জড়ায়। একাধিক ছাত্রী তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার দাবি আনে। এই মুহূর্তে কনকের বিরুদ্ধে কড়া হাতে ব্যবস্থা নিতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্ররাও চায়, তাই যেন হয়।