সংক্ষিপ্ত
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই। গ্রেফতার করলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথেই শহরে অনলাইন জালিয়াতির পরিমাণ বহুগুন বেড়ে চলেছে। প্রায়শই শহরের নানা প্রান্ত থেকে জালিয়াত চক্রের খোঁজ মিলছে। এমতাবস্থায় এবার ফের কলকতার বুকে জমাতারা গ্যাং সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা যাচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাগুইহাটি এলাকার বাসিন্দা অনুস্মিতা বাউল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় একটি অভিযোগ করে জানান যে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের তরফ থেকে তার কাছে একটি এসএমএস আসে যেখানে জানানো হয় সেই ব্যাঙ্কে তাঁর একাউন্ট ব্লক হয়ে গেছে। সেই ব্লক খুলতে একটি লিংকে ক্লিক করতে হবে। সেই অনুযায়ী তিনি লিংকে ক্লিক করলেই তিন ভাগে তার একাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৪৬৯ টাকা উধাও হয়ে যায়। এই ঘটনারই তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন-মেটেনি রাস্তা-জলের সমস্যা, পুরুলিয়ায় ভোট বয়কটের ডাক একাধিক ওয়ার্ডে
আরও পড়ুন-তৃতীয় দফার ভোটে উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশ, যাদব ঘাঁটিতে জয় আনতে মরিয়া অখিলেশ
তদন্তে নেমে ভাটপাড়া এলাকায় গতকাল রাতে হানা দেয় সাইবার ক্রাইম বিভাগের একটি দল। সেখান থেকে সুরাজ দাস ও বিকাশ শাহকে গ্রেফতার করে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুই ব্যক্তি জামতারা গ্যাংকে এই ব্যাংকের একাউন্ট গুলো দিয়ে প্রতারণার কাজে সাহায্য করত। আজ অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। পুলিশ তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। এই দুজনের সঙ্গে জামতারা গ্যাংয়ের যোগ কার মাধ্যম দিয়ে তা খতিয়ে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। এই ঘটনায় স্বভাতই ফের চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে শহরের বুকে।
আরও পড়ুন- টেস্টে বাদ পড়তেই বিসিসিআই-র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ঋদ্ধি, তোপ রাহুল-সৌরভকে
সম্প্রতি বেহালার পর্ণশ্রীতে ২০ লক্ষ টাকা এক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় সাইবার জালিয়াতিদের খপ্পরে পড়ে। তারপরই তা নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। সক্রিয় সিম কার্ড এর সূত্র ধরে টাওয়ার এর অবস্থানের সূত্র ধরে শুরু হয় ধরপাকড়। তখনই একটি বড়সড় জালিয়াত চক্রের খোঁজ পায় পুলিশ। তদন্তের শুরুতে পার্থ সাহা নামে এক ব্যক্তিকে হালিশহর থেকে ধরে পুলিশ। তারপর তার কাছ থেকে অ্যাক্টিভেটেড ৭০০ সিম কার্ড মেলে। সেই সূত্র ধরেই শিবশংকর সাহাকে পাকড়াও করা হয়। এরমধ্যে বেশিরভাগ অভিযুক্ত টেলি কমিউনিকেশন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যায়। পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক জেলা থেকেও গত কয়েকমাসে এই ধরণের একাধিক ঘটনাক খবর প্রকাশ্যে আসে।