সংক্ষিপ্ত
- রাজ্য়ে তৃণমূলের সরকারকে উৎখাতের ডাক
- লক্ষ্য বেধে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি
- রাজ্য বিজেপির নতুন কর্মসমিতির ভার্চুয়াল বৈঠক
- ২১শের নির্বাচনে অবশ্য় কর্তব্য কী বললেন নাড্ডা
রাজ্য়ে তৃণমূলের সরকারকে উৎখাত করতে লক্ষ্য বেধে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির নতুন কর্মসমিতির ভার্চুয়াল বৈঠকে বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপির উত্থানের পরিসংখ্য়ান দিলেন জে পি নাড্ডা। এদিন দিলীপ ব্রিগেডের ওপর চাপ সৃষ্টি করলেন অমিত শাহের উত্তরসূরী। ২১শের নির্বাচনে ৫০ শতাংশ ভোট শেয়ার বাধ্য়তামূলক বলে জানিয়ে দিলেন জগৎপ্রকাশ নাড্ডা।
ঘরেই যখন 'বিভীষণ',মমতার ভাগ্যে কটা আসন
এদিন তিনি বলেন, অতীতে ২০১১ সালের নির্বাচনে রাজ্য়ে বিজেপির ভোট শতাংশ ছিল ৪। ২০১৬ সালে পরবর্তীকালে যা ১৮ শতাংশে দাঁডায়। কিন্তু ২০১৯ সালে সেই ভোটের হার পৌঁছে যায় ৪০ শতাংশে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সেই ভোটের হারকে ৫০ শতাংশে নিয়ে যেতেই হবে। তবেই রাজ্য় থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমূলে উৎখাত করা যাবে।
বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির নতুন কর্মসমিতির বৈঠক বসেছিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মাহেশ্বরী সদনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, পর্যবেক্ষক ও সহকারী পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, রাষ্ট্রীয় কার্যকারিণীর সদস্য মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। বিজেপি সভাপতি নড্ডাও দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই বৈঠকে শামিল হন।
পিসির রাজত্বে ভাইপোর কীসের ভয়,কঙ্গনা প্রসঙ্গে মহুয়াকে পাল্টা বাবুলের
এদিন মমতাকে আক্রমণ করতে গিয়ে রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর দিন রাজ্য়ে লকডাউনের কথা উল্লেখ করেন নাড্ডা। তিনি দাবি করেন,৫ অগস্ট লকডাউন বলবৎ থাকলেও ৩১ জুলাই বকরি ইদ ছিল বলে পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়। অমিত শাহের উত্তরসূরী দাবি করেন, এই হিন্দুবিরোধী মানসিকতাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি। এদিন দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, আমফানের পরে তৃণমূল রেশনের চাল চুরি করতে ব্যস্ত থেকেছে। আর বিজেপি কর্মীরা ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন।
'রিয়া বাঙালি ব্রাহ্মণ মেয়ে ', সুশান্ত মামলায় মুখ খুললেন অধীর
নাড্ডার বক্তব্য়ের পর পাল্টা দিতে ছাড়েনি তৃণমূলও। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এঁদের এ থেকে জেড পর্যন্ত সব নেতা একই ধরনের কথা বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে রাজনীতিটা করেন, তা সবাইকে নিয়ে এবং বাংলার যে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, গণতান্ত্রিক অধিকার, তাকে সুরক্ষিত করার জন্য। তিনি রাজ্যবাসীর জন্য় সংগ্রাম করছেন। আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। মানুষকে উপেক্ষা করার রাজনীতি আমরা করি না
"