সংক্ষিপ্ত

বেলা গড়াতেই বোমার আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। তবে কারা এই কাজ করেছে সেই বিষয়ে দিশাহীন পুলিশ। কংগ্রেসের অভিযোগ শাসক দল তৃণমূলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতিরাই এই কাজ করেছে। এমনকী কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের মারধরের অভিযোগও তোলা হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

পুরভোটের আবহে সকাল থেকেই উত্তপ্ত কলকাতা(Kolkata)। উত্তেজনা যেন কিছুতেই ঠেকানো একাধিক বুথে। খান্নার পর এবার শিয়ালদহের টাকি হাইস্কুল(Taki High School in Sealdah)। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে পরপর বোমাবাজির(Bombing) খবর সামনে আসতেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা শহরে। এদিকে এই এলাকায় সকাল থেকেই বারেবারে তৃণমূল ও কংগ্রেস সমর্থকদের(Trinamool and Congress supporters) দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়াতে দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে আতঙ্ক ছড়ায় ভোটারদের মধ্যে। পরে পুলিশ এসে উত্তেজনা ঠেকায়। কিন্তু তারপরেও দমানো যাচ্ছ না উত্তেজনা। এদিকে বেলা গড়াতেই বোমার আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। তবে কারা এই কাজ করেছে সেই বিষয়ে দিশাহীন পুলিশ। কংগ্রেসের অভিযোগ শাসক দল তৃণমূলের(Trinamool) মদতপুষ্ট দুষ্কৃতিরাই এই কাজ করেছে। এমনকী কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের(Congress activist supporters) মারধরের অভিযোগও তোলা হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি নেপথ্যে রয়েছে কংগ্রেসই। ভোটারদের ভয় দেখাতে বোমাবাজি হয়েছে বলে দাবি তাদের। দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের এই খেলার মধ্যে পুলিশের সামনে কীভাবে বোমাবাজির ঘটনা ঘটল সেই বিষয়ে উঠছে প্রশ্ন। এদিকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বোমার আঘাতে গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন এক ব্যক্তি। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিকটবর্তী হাসপাতালে  নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এদিন সকাল থেকেই এই বুথের সামনে বারেবারে বচসায় জড়াতে দেখা যায় তৃণমূল ও কংগ্রেস সমর্থকদের। এমনকী হাতাহাতির পরিস্থিতিও তৈরি হয় এক এক সময়। এদিকে একবারে শিয়ালদহ স্টেশনের সামনে পরপর ২টি বোমাবাজির ঘটনায় স্বভাবতই উত্তেজনা ছড়িয়েছে স্টেশন চত্বরেও। কিন্তু বারেবারেই প্রশ্ন উঠছে সকাল থেকেই উত্তেজনার খবর থাকলেও কেন বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে পারল না কলকাতা পুলিশ ?

আরও পড়ুন-মানিকতলায় বিরিয়ানি খাইয়ে ভোটারদের মন জেতার চেষ্টার অভিযোগ, কাঠগড়ায় বিজেপি

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসে কলকাতা পুরভোট হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড আবহে তা দেড় বছর পিছিয়েছে। এর মাঝে বিপুল ভোটে জিতে রাজ্যের মসনদে তৃতীয়বারের জন্য বসেছে তৃণমূল। এদিকে এবারের পুরভোটে কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডে মোট বুথের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৫৯টি। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৬৭০। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১,১৩৯। এবারে পুরভোটে নিরাপত্তার সামগ্রিক দায়িত্ব কলকাতা পুলিশ। থাকছে সাড়ে ২৩ হাজার পুলিশ কর্মী। প্রতি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একজন সাব ইন্সপেক্টর বা অ্যাসিট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরের নেতৃত্ব ২-৪ জন সশস্ত্র পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকছে।