সংক্ষিপ্ত

শতাধিক ওয়ার্ডে ভোট লুট করেছে তৃণমূল। অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করার লক্ষ্যে কলকাতা হাইকোর্ট প্রতিটি বুথে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও বেশিরভাগ বুথে তা বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ শুভেন্দুর।

গত গত মাসে দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই কলকাতার পুরভোট(KMC election) নিয়ে গোটা রাজ্যেই ক্রমেই চড়ছিল উন্মাদনার পারদ। অবশেষে ১৯ তারিখ সকাল সকাল ভোট দিতে পথে পথে নামতে দেখা যায় কলকাতাবাসীকে(Kolkata)। কিন্তু মোটের উপর ভোটদানের হার খুব খারাপ না হলেও ছাপ্পা, বুথজ্যাম, বিরোধী এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ সারাদিন ঘটনাবহুলই রইল কলকাতার পুরভোট(Kolkata municipality election)। এমনকী ভোটের দিন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির(Law and order situation) অবনতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এবার এই ইস্যুতেই শাসক তৃণমূলকে(trinamool) চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে(Opposition Leader Shuvendu Adhikari)। এমবকী ছাড় দিলেন নির্বাচন কমিশনকে(State Election Commission)।

শুভেন্দুর দাবি, কমিশনের তত্ত্বাবধানেই ১০০টির বেশি ওয়ার্ডে ভোট লুট করেছে তৃণমূল। অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করার লক্ষ্যে কলকাতা হাইকোর্ট প্রতিটি বুথে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও বেশিরভাগ বুথে তা বন্ধ রাখা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করতে দেখা যায় তাঁকে। রবিবার কলকাতা পুরভোট চলাকালীন টুইট করে এভাবেই কার্যত নির্বাচন কমিশন ও তৃণমূলকে একযোগে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা। তবে চুপ করে নেই তৃণমূলও। অবশেষে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ পুরভোট ইস্যুতে বিরোধীদের আনা সন্ত্রাসের অভিযোগকে কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন তিনি৷ তাঁর দাবি ‘‘অজুহাত চাই তো। যখন ভোটের ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের জয় দেখবে তখন কিছু তো একটা বলতে হবে মুখ বাঁচাতে! তাই আগে থেকে এসব বলে নিজেদের পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করছে ওরা।” অভিষেকের মন্তব্য নিয়েও ইতিমধ্যে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতার রাজনৈতিক মহলে।

আরও পড়ুন-কার আদেশে নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়া ভোট দিতে হল, বিতর্কে উষ্কে বিস্ফোরক রাজ্যপাল

এদিকে শাসকের হুঙ্কারকে তোয়াক্কা না করেই এদিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে টেনে টুইটারে তোপ দাগেন শুভেন্দু। চাঁচাছোলা ভাষায় এক টুইট পোস্টে তিনি লেখেন,কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল প্রতিটি বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। কিন্তু, বসানো হলেও সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এইভাবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস।এদিকে পুরভোটের আবহে ত্তর থেকে দক্ষিণ দফায় দফায় অশান্তির খবর এলেও পুরভোট শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে বলেই মত প্রকাশ করেছেন কলকাতা যুগ্ম পুলিশ কমিশনার। সকাল থেকে বিভিন্ন ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।