সংক্ষিপ্ত

সকাল দশটা নাগাদ খান্না হাই স্কুলের সামনে বোমাবাজি হয়। পর পর দুটি বোমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে। আতঙ্কিত রয়েছেন ভোটাররা। 

কলকাতা পুরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) ১৪৪ টি ওয়ার্ডে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ (KMC Election)। আর ভোটদান প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরই একাধিক জায়গা থেকে অশান্তির খবর ধরা পড়ছে। আর এবার বোমাবাজির ঘটনা ঘটল বেলেঘাটার (Beleghata) ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে খান্না হাইস্কুলের (Khanna Highschool) সামনে। পরপর দুটি বোমা ছোড়া হয়। বোমার (Bombing) দাগ রয়েছে রাস্তার উপর। বাম(CPM), কংগ্রেস(Congress) ও বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) শচীন সিং। পাল্টা  সিপিআই প্রার্থী মৌসুমী ঘোষের দাবি, বোমাবাজির রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। এই খবর পাওয়ার পরই পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে নির্দেশ দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। 

সকাল দশটা নাগাদ খান্না হাই স্কুলের সামনে বোমাবাজি হয়। পর পর দুটি বোমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে। আতঙ্কিত রয়েছেন ভোটাররা। এর আগেও ওই বুথ নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। সকালেই ওই বুথে থাকা সিসিটিভি স্টিকার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। 

পরপর দুই বোমাবাজির ঘটনার প্রেক্ষিতে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থীর বক্তব্য, “কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি মিলে চক্রান্ত করছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সাধারণ মানুষ চিনেছেন, বোমা বাজির ঘটনায় জড়িত কংগ্রেসের লোক, তৃণমূলকে বদনাম করতেই এসব করছেন তাঁরা। বাইরে থেকে কংগ্রেসের লোকজন লজে লোক রাখছে।" ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন- বিজেপি প্রার্থী মীনা দেবী পুরোহিতকে বুথে ঢুকতে বাধা, পোশাক ছেঁড়ার অভিযোগ

কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরিবর্তে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ দিয়ে কলকাতা পুরভোট করা হচ্ছে। মোতায়েন রয়েছে ২৩ হাজারের বেশি পুলিশ। কিন্তু, তারপরও বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর সামনে আসছে। অভিযোগ উঠছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার। ভোটের দিন শহরের ২০০টি জায়গায় রয়েছে পুলিশ পিকেট। জলপথেও রিভার পেট্রোলিং ৬ জায়গায়। RFS ও RT মোবাইল দিনে-রাতে মিলিয়ে রয়েছে ৭২টি। HRFS ৩৫টি। পাশাপাশি ১৮টি স্পেশ্যাল মোতায়েন ক্যুইক রেসপন্স টিম। বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বিধাননগর ও হাওড়া কমিশনারেট, বারুইপুর ও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলাকেও। এত কিছু থাকার পরও বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি উঠে আসছে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে। 

পাশাপাশি টাকি স্কুলের সামনে বোমাবাজি ঘটনা ঘটেছে। তার জেকে একজন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে তাঁর পা। তৃণমূলের অভিযোগ, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই বোমাবাজি ঘটিয়েছে। যদিও পাল্টা তৃণমূলের দিকে অভিযোগ ছুড়ে দিয়েছে কংগ্রেস।