সংক্ষিপ্ত
এক সময় জেলার চিকিৎসা পরিষেবার গর্ব ছিল লন্ডন মিশন হাসপাতাল। অভিযোগ, সেই হাসপাতালকে ঘিরেই এখন আর্থিক দুর্নীতি এবং লুঠ চলেছে।
রাজ্যে করোনার গ্রাফ এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। কিন্তু, চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদের ব্রিটিশ আমলের তৈরি জিয়াগঞ্জ লন্ডন মিশন হাসপাতাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ওই হাসপাতালকে এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে।
এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল বলেন, "বর্তমানে করোনা আক্রান্ত কোনও রোগী না থাকায় আপাতত ওই হাসপাতালের রোগী পরিষেবা বন্ধ করা হল। তবে চিকিৎসা বিষয়ক যে কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে হাসপাতালে।" জেলাবাসীর জন্য ওই হাসপাতালে ভবিষ্যতে বড় কোনও পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন- নিম্নচাপের জেরে উত্তাল সমুদ্র, স্নান বন্ধ রেখে দিঘায় জারি সতর্কতা
জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করে তুলতে খ্রিষ্টান মিশনারিদের উদ্যোগে ১৮৯৪ সালে ৪২ বিঘা জমির উপর জিয়াগঞ্জে গড়ে ওঠে খ্রিষ্টীয় সেবা সদন। জেলার মানুষের কাছে যা লন্ডন মিশন হাসপাতাল নামে বেশি পরিচিত। ওই হাসপাতালে মূলত প্রসূতি এবং শিশুদের চিকিৎসা করা হত। ১৯৯৫ সালের ১৪ জুলাই হাসপাতালটি রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করে। পরবর্তীতে ২০০০ সালে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালটি চালু হয়। কিন্তু, তারপর থেকে একাধিকবার এই হাসপাতাল চালু ও বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ, প্রায় ৫০০ নৌকা উদ্ধার করল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী
এক সময় জেলার চিকিৎসা পরিষেবার গর্ব ছিল লন্ডন মিশন হাসপাতাল। অভিযোগ, সেই হাসপাতালকে ঘিরেই এখন আর্থিক দুর্নীতি এবং লুঠ চলেছে। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর নবান্নের নির্দেশে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তৎপরতায় জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভা পরিচালিত লন্ডন মিশন হাসাপাতালকে ২০২০ সালের ২৩ অগাস্ট করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়। ১০৫ শয্যাবিশিষ্ট করোনা হাসপাতাল ছিল এটি। হাসপাতাল চত্বরে খোলা হয়েছিল আইসোলেশন ওয়ার্ডও। কিন্তু বর্তমানে করোনা রোগী না থাকায় ওই হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন, বাবার দেওয়া মোবাইলই কাল হল শুভদীপের, অনলাইন গেমের বলি বছর ২১-র যুবক
এই বিষয়ে জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুর প্রশাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ মনু বলেন, "সিএমওএইচ সাহেব আমাকে সরাসরি কিছু বলেননি। তবে কর্মীদের মুখ থেকে শুনছি উনি হাসপাতাল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। তবে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বললে বিস্তারিত জানতে পারব।"