সংক্ষিপ্ত
- কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি সব্যসাচী দত্তের
- বিধাননগরের পুরকমিশনারের জারি করা আস্থা ভোটের বিজ্ঞপ্তি বাতিল
- নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে চেয়ারপার্সনকে
সব্যসাচী দত্তকে মেয়র পদ থেকে সরাতে গিয়ে বড় ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নির্দেশেই বিধাননগরের মেয়রকে সরাতে অনাস্থা এনেছিলেন ৩৫ জন কাউন্সিলর। সেই অনাস্থা প্রস্তাবকেই বেআইনি বলে খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, দু' দিনের মধ্যে ফের আস্থা ভোটের জন্য নতুন করে বৈঠক ডাকতে হবে চেয়ারপার্সনকে।
তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই কলকাতা হাইতোর্টে মামলা করেছিলেন সব্যসাচী দত্ত। সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আস্থা ভোটের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন বিধাননগরের পুর কমিশনার। কিন্তু এ দিন রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি সমাপ্তী চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পুর আইন অনুযায়ী এভাবে আস্থা ভোটের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারেন না পুর কমিশনার। ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে চেয়ারপার্সনকে।
বিধাননগরের পুরকমিশনারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল বিধাননগর পুরসভায়। কিন্তু এ দিনের রায়ের পরে সেই ভোটও বাতিল হয়ে গিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে আস্থা ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে। আস্থা ভোটের ফলকে প্রভাবিত করতে যাতে ঘোড়া কেনাবেচা না করা যায়, তা নিশ্চিত করতেই সময় বেঁধে দিলেন বলে জানান বিচারপতি।
সব্যসাচী দত্তের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন সিপিএম নেতা এবং আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। পাল্টা রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন সাংসদ এবং আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে শুনানির পরে বুধবার সন্ধ্যায় মামলার রায় দেন বিচারপতি।
রায়কে স্বাগত জানিয়ে সব্যসাচী জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ীই সবকিছু হবে। পাল্টা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, অনাস্থা প্রস্তাব আনা হলে নীতিগত কারণেই পদত্যাগ করা উচিত।