সংক্ষিপ্ত

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার বেঞ্চের নির্দেশ, সাধারণ মানুষেরও কিছু দায়িত্ব থাকা উচিত। সেই দায়িত্বের কথা মাথায় রেখে কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোয় মণ্ডপে দর্শনার্থীরা অবাধে ঘুরে বেড়াতে পারবেন না। 

মাস্ক (Mask) রয়েছে, হাতে স্যানিটাইজার(sanitizer), সঙ্গে ডবল ডোজ ভ্যাকসিনেশনের (Vaccinaton) সার্টিফিকেট (Certificate)? কি ভাবছেন, কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কালীঠাকুর দর্শনের পাসপোর্ট পেয়ে গিয়েছেন ? না মশাই, তা হচ্ছে না। দর্শনার্থীদের জন্য কড়া নিষেধাজ্ঞা (Rules)জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata Highcourt)। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে মাস্ক পরলে ও ভ্যাকসিন নিলেও অবাধে আপনি ঘুরে বেড়াতে পারবেন না। 

কোভিড নীতি মনে করিয়ে দিয়ে কালীপুজোর জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার বেঞ্চের নির্দেশ, সাধারণ মানুষেরও কিছু দায়িত্ব থাকা উচিত। সেই দায়িত্বের কথা মাথায় রেখে কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোয় মণ্ডপে দর্শনার্থীরা অবাধে ঘুরে বেড়াতে পারবেন না। 

বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল রেখে এ দিন হাই কোর্টের নির্দেশ, প্যান্ডেল কত বড়, তা মাথায় রেখেই নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শনার্থীকে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। মন্ডপে ভিড় রোখার জন্য সব রকম জরুরি পদক্ষেপ করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু মাস্ক পরা বা দু’টি টিকা নেওয়া থাকলেই পুজো মণ্ডপে অবাধে ঢোকা যেতে পারে না বলে এদিন জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

দুর্গাপুজোর জন্যও বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছিল আদালত। হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল সিঁদুর খেলা, অঞ্জলী দেওয়া থেকে আরতি, সমস্ত উপাচার করতে পারবে পূজাকমিটিগুলি। বড় প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে একসঙ্গে ৪৫ জন এবং সর্বাধিক ৬০ জনকে ঢোকার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অন্যদিকে, ছোট প্যান্ডেলের ক্ষেত্রে একসঙ্গে ১০ জন এবং সর্বাধিক ১৫ জন উপাচারগুলিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছিল। 

এদিকে, মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায়  কোভিড সংক্রমণ বেড়ে ২৪৯ জন আক্রান্ত কলকাতায়। রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ গত ৪৮ ঘন্টা কমলেও তা ফের গত ২৪ ঘন্টায় বেড়ে গিয়েছে। এবার  ৮৬২ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। অগাস্ট - অক্টোবর অবধি সংক্রমণ কমে ৪০০ থেকে ৮০০-র মধ্যেই ক্রমাগত ওঠা-নামা করছিল কোভিড গ্রাফ। কিন্তু  এবার সেই যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে দিয়ে চিন্তা বাড়িয়ে দিল কলকাতা সহ রাজ্য। 

তবে একদিনে সর্বনিম্ন সংক্রমণ হয়েছে পুরুলিয়া। এখানে একদিনে ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ৩৪ জন করে আক্রান্ত হয়েছে আলিপুরদুয়ারে।  ৬ জন করে আক্রান্ত হয়েছে  কালিংপঙে । আর এবার সবার থেকে অনেকটাই ব্যবধানে গিয়ে সর্বোচ্চ সংক্রমণ এই মুহূর্তে ফের কলকাতায়। কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ২৪৯। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগণায় সংক্রমণ একদিনে ১৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। হাওড়াতে ৬১ জন এবং হুগলিতে ৭০ জন এবং  দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে  একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ জন।