সংক্ষিপ্ত
- কলকাতায় পর পর এটিএম প্রতারণার ঘটনা
- তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশ
- কলকাতায় এখনও বহু এটিএম অরক্ষিত
- প্রতারণা থেকে বাঁচতে জোড়া পরামর্শ দিল পুলিশ
বছর খানেক আগেই এটিএম প্রতারণার অভিযোগে দিল্লি থেকে দুই রোমানীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। এবারও কোনও বিদেশি চক্রই কলকাতায় এটিএম প্রতারণার ফাঁগদ পেতেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে কলকাতা পুলিশ। এ দিন কলকাতায় এমনই দাবি করেছেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলিধর শর্মা। তবে এটিএম প্রতারণার নেপথ্যে যে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষেরও গাফিলতি আছে, তাও জানিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা।
গত সোমবার থেকে কলকাতার দু'টি থানা এলাকায় অন্তত পঞ্চাশটি এটিএম প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে ছত্রিশটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে যাদবপুর থানায়। চোদ্দটি অভিযোগ দায়ের হয় চারু মার্কেট থানাতে। প্রতি ক্ষেত্রেই এটিএম কার্ডের তথ্য হাতিয়ে দিল্লি থেকে টাকা তুলে নিয়েছে প্রতারকরা। সবমিলিয়ে খোয়া গিয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা। বীরভূম এবং পূর্ব বর্ধমান থেকেও একই ধরনের অভিযোগ এসেছে।
জয়েন্ট সিপি ক্রাইম জানিয়েছেন, এক বছর আগে এটিএম প্রতারণার ঘটনা সামনে আসার পর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে কলকাতা পুলিশ। তার পরেও পুলিশের নির্দেশিকা মেনে কলকাতার সব এটিএম-এ এখনও নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করেনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। পুলিশের ধারণা, অরক্ষিত এটিএম-এ স্কিমিং ডিভাইস লাগিয়েই তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। কলকাতায় এখনও আড়াইশো এটিএম-এ অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়েন্ট সুপার ক্রাইম। এবারের ঘটনাতেও কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড শাখা তদন্তে নেমেছে। প্রতারকদের চিহ্নিত করতে সাইবার বিশেষজ্ঞদেরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
ওই পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, এবার থেকে মোটর সাইকেলে করে কলকাতা পুলিশের টহলদারি বাহিনী বিভিন্ন এটিএম-এ গিয়ে নিয়মিত তা পরীক্ষা করে দেখে আসবে। এর পাশাপাশি পুলিশের তরফে আরও দু'টি পরামর্শ গ্রাহকদের দেওয়া হয়েছে যা তাঁদের প্রতারকদের পাতা ফাঁদ থেকে বাঁচাতে পারে।
প্রথমত, প্রতি তিন বা ছ' মাস অন্তর এটিএম কার্ডের পিন নম্বর বদলে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। দ্বিতীয়ত, এটিএম কার্ড যখন ব্যবহার করা হচ্ছে না তখন ব্যাঙ্কের অ্যাপ বা অনলাইন পরিষেবা ব্যবহার করে এটিএম কার্ডকে ডিঅ্যাক্টিভেট করে রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
যাঁদের টাকা খোয়া গিয়েছে, তাঁরা যাতে দ্রুত তা ফেরত পান, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সে বিষয়েও কথা বলছে পুলিশ।