সংক্ষিপ্ত
- মাধ্য়মিকের আগে কলকাতা পুলিশ লাগাতার প্রচার চালাচ্ছে
- শুধু মাইক নয়, কোথাও জোরে সাউন্ড বক্স বাজলে যেন ফোন করা জানানো হয়
- কিন্তু নেটিজেনদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্য পুলিশ কী করছে
- কলকাতার লাগোয়া বিধাননগর পুলিশ ও ব্যারাকপুর পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে
মাধ্য়মিক পরীক্ষা এলে গেল। সোশাল সাইট থেকে শুরু করে নানা জায়গায় কলকাতা পুলিশ প্রচার করে বলছে, মাইক বাজলে ফোন করে তাদের জানাতে। শুধু মাইক নয়, লাউড মিউজিক বা জোরে চলা যেকোনও রকম শব্দে যদি কাউর অসুবিধে হয়, অবশ্য়ই যেন পুলিশকে ফোন করে জানায়।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, রাজ্য় পুলিশের তরফে এমন কোনও প্রচার দেখা যাচ্ছে না। কিছু জেলায় রাজ্য় পুলিশ নাকি প্রচার করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কলকাতার লাগোয়া বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট, ব্য়ারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট চুপ কেন? নেটিজেনদের মধ্য়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, যাবতীয় শব্দবিধি কি শুধু খাস কলকাতার জন্য়। কেউ কেউ বলছেন, কলকাতা থেকে দূরবর্তী জেলায় কিছু জায়গায় পুলিশ সচেতনতামূলক প্রচার চালালেও, কলকাতার লাগোয়া কমিশনারেটগুলো মুখে যেন কুলুপ এঁটেছে। অথচ, চাইলে সোশাল মিডিয়ায় এই বিধাননগর বা ব্য়ারাকপুর কমিশনারেট পরীক্ষার্থীদের ভরসা দিয়ে বলতেই পারত যে, কোথাও কোনও মাইক বাজলে বা জোরে বক্স বা ডিজে বাজলে যেন তাদের স্বচ্ছন্দে ফোন করে জানানো হয়। কিন্তু সেরকম কোনও প্রচার কাউর এখনও অবধি চোখে পড়েনি।
প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্য়জুড়ে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা লেগেই থাকে সারাবছর। পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছার বহরেও কিছু কম যান না নেতামন্ত্রীরা। সেক্ষেত্রে, কেউই কিন্তু শব্দদূষণ নিয়ে সেভাবে কিছু বলছেন না। কেন?
নেটিজেনরা কেউ কেউ বলছেন, মাইকের ব্যবহার এই কদিন একটু কমবে ঠিকই। কিন্তু দোকানের সামনে বক্স বাজিয়ে রাখা, বিয়েবাড়িতে সাউন্ড বক্স ব্য়বহার করায় রাশ টানা যাবে কী করে? এই তো কদিন আগেও ডিজের দাপটে অতিষ্ঠ হয়েছে শহরতলী। শুধুই কি সচেতনতায় চিঁড়ে ভিজবে? কলকাতা পুলিশের মতো বিধাননগর পুলিশ বা ব্য়ারাকপুর পুলিশও এগিয়ে এসে কি ভরসা দিতে পারত না পড়ুয়াদের?