সংক্ষিপ্ত

  • করোনা মোকাবিলায় স্টেট এমার্জেন্সি ফান্ড গঠন
  • কলাকাতায় আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ করার দাবি
  • বিদেশ থেকে আগতদের সাবধানে থাকতে হবে
  • নবান্ন থেকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সোমবার থেকে রাজ্যের সরকারি অফিসগুলিতে কমছে হাজিরা।  ৩১ মার্চ পর্যন্ত সরকারি অফিসগুলিতে হাজিরা কমিয়ে করা হচ্ছে ৫০ শতাংশ। নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছেও ৫০ শতাংশ হাজিরা কমিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কর্মীদের কাজের সময় কমিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।  তিনি আরও বলেন, করোনাভারইস নিয়ে অযোথা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করালে সমস্ত রোগী ঠিক হয়ে যাবে। করোনা মোকাবিলা ইতিমধ্যেই স্টেট এমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ড গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে আবারও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতায় এখনও আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা করছে বলেও উষ্মা প্রকাশ করেন। অবিলম্বে কলকাতা থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার অর্জিও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল কিট কেন্দ্র দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

কিছুটা অভিযোগের সুরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন বিদেশ থেকে যাঁরা ফিরেছেন তাঁদের ক্ষেত্রেই সংক্রমণের সংখ্যা বেশি। বিদেশ থেকে ফিরলে স্বেচ্ছায় নিজেকে গৃহবন্দি করে রাখার পরামর্শও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পরামর্শ কিছুদিন আইসোলেশনে থাকার পর যদি কোনও সমস্যা না হয় তাহলে অবাধ যাতায়াত করতেই পারেন। কিন্তু নিজে অসচেতন হয়ে অন্যদের সংক্রমিত করা ঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

আরও পড়ুনঃ কী করে করোনার হাত থেকে রক্ষা করবেন আপনার বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের, রইল তারই টিপস

আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতা, ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৈরি হচ্ছে আইসোলেশন ওয়ার্ড

আরও পড়ুনঃ করোনা আতঙ্কের মাঝেই বিদেশ সফর, মালয়েশিয়ায় আটকে পড়েছে শ্রীরামপুরের দুটি পরিবার

এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২। বহু মানুষই ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে  রাজ্যের করোনা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশই বা়ড়ছে। অনেকেই আশঙ্কা করছে লকডাউনের পথে হাঁটবে তিলোত্তমা। অথবা সংক্রমণ রুখতে বন্ধ করে দেওয়া হবে  পারে বাজারগুলি। কিন্তু গতকালই মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন এখনই সেই পথে হাঁটছে না রাজ্য। আর আজ ঘোষণা করেছেন আগামী ৬ মাসের জন্য এই রাজ্যের প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে বারবার সচেতন হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যবাসীকে।