সংক্ষিপ্ত
- নেতাজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সরগরম বাংলা
- দিনটিকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র
- রাজ্য সরকারে দিনটি পালন করছে দেশনায়ক দিবস হিসেবে
- কেনও দেশনায়ক দিবস তার উত্তরও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে শনিবার সরগরম বাংলা। ভোটের আগে নেতাজি আবেগকে কাজে লাগাতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে চলছে অঘোষিত প্রতিযোগিতাও। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফ থেকে দিনটি পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য সরকার দিনটিকে দেশনায়ক দিবস হিসেবে পালন করছে। অপরদিকে, বামেদের পক্ষথেকে আবার দিনটিকে দেশপ্রেম দিবস হিসেবে ঘোষণা করার দাবি করা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার কেনও দেশটি দেশনায়ক হিসেবে পালন করছেন তার খোলাসা নেতাজি ভবনে গিয়ে করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর যে সফরসূচি ছিল তাতে প্রথমে নাম ছিল না এলগিন রোডের নেতাজি ভবনের। পরে তালিকাতে তা যোগ করা হয়। জানানো হয় ন্যাশানাল লাইব্রেরী ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আগে সবার প্রথম নেতাজি ভবন দিয়েই সফর শুরু করবেন নরেন্দ্র মোদী। তার কিছুক্ষণ পরেই নেতাজি ভবনে হাজর হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি, ছোট বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রের সরকারকে কটাক্ষ করতেও ভোলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,, ‘নেতাজি একটা দর্শন, ওঁনার মতো দেশপ্রেমিক কম ছিলেন।’ নেতাজি মানে একটা আবেগ। রবীন্দ্রনাথ প্রথম নেতাজিকে দেশনায়ক বলেছিলেন। তাই আমরা দেশনায়ক দিবস পালন করছি।’ নেতাজির কোনও দয়া-ভিক্ষার দরকার নেই বলেও জানিয়ে দেন মমতা। একইসঙ্গে স্পষ্ট ভাষায় জানান,'পরাক্রম মানে বুঝি না, উনি দেশেনায়ক'।
এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শুধু ভোটের সময় নয়, সারা বছর আমরা বসু পরিবারের পাশে থাকি। যোজনা কমিশন কেন তুলে দেওয়া হল সেই বিষয়ে কেন্দ্রকে তোপও দাগেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। একই সঙ্গে নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করারও দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এরপর তিনি শ্যামবাজারে গিয়ে নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষ্যে পদযাত্রার শুরু করেন। এবার রাজ্য সফরে এসে কী বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেদিকেই নজর সকলের।