সংক্ষিপ্ত

  • রাজ্য়ে করোনা মোকাবিলায় কম টেস্ট হয়নি
  •  পরিসংখ্যান দিয়ে সেই তথ্য় দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী
  • মমতা বলেন, জাতীয় সংবাদ মাধ্য়মগুলো ভুল বলছে
  •   টেস্ট নিয়ে যে প্রতিবেদন বলা হচ্ছে তা মোটেও ঠিক নয় 
     

রাজ্য়ে করোনা মোকাবিলায় কম টেস্ট হয়নি। বুধবার পরিসংখ্যান দিয়ে সেই তথ্য় দিলেন  মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংবাদ মাধ্য়মগুলোয় রাজ্য় সরকারের টেস্ট নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে তা মোটেও ঠিক নয়। 

রাজ্য়ে করোনায় লাশ গায়েবের পাশাপাশি সংক্রমিতদের সেভাবে পরীক্ষা না করার অভিয়োগ তুলেছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য় করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যা কম দেখাতে টেস্ট করছে না রাজ্য় সরকার। যার ফলে বাংলায় বহু করোনা রোগী থাকা সত্ত্বেও সেই তথ্য় পাওয়া যাচ্ছে না। বিজেপির  অভিযোগ, রাজ্য়ের  এই করোনায় সংক্রমিতরাই সাধারাণ মানুষের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। করোনার সংক্রমিতের সংখ্য়া ধামা চাপা দিতেই এই কাজ করছেন মুখ্য়মন্ত্রী।

বুধবার নবান্নে বিরোধীদের এই অভিযোগ নস্য়াৎ  করেন মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন,  রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৭০৩৭ জনের করোনা টেস্ট হয়েছে। তাই বাংলায় টেস্ট কম হচ্ছে বলে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। এই বলেই অবশ্য় থেমে থাকেননি মুখ্য়মন্ত্রী। মমতা বলেন, রাজ্য় সরকার কিট কিনে রেখেছিল বলে বাঁচোয়া, রাজ্য়ের জন্য় পর্যাপ্ত পরিমাণ কিটই পাঠায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী র‍্যাপিড টেস্টের যে কিট পাঠিয়েছিল তা ত্রুটিপূর্ণ বলে ব্যবহার করতে বারণ করেছে।

পরে এ বিষয়ে বষদে ব্যাখ্য় দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, একটা টেস্ট করতে আইসিএমআর-এর স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী দুটি সোয়াব কিট লাগে। রাজ্যের এখনও পর্যন্ত ৭০৩৭ জনের কোভিড টেস্ট হয়েছে। হিসেব অনুযায়ী টেস্ট পিছু দুটি কিট লাগে। তা হলে এখনও পর্যন্ত যত টেস্ট হয়েছে তার জন্য ১৪ হাজার ৭৪টি কিট প্রয়োজন ছিল। অথচ আইসিএমআর পাঠিয়েছে মাত্র আড়াই হাজার কিট। তাও সব খারাপ। 

সম্প্রতি রাজ্য়ে করোনা চিকিৎসায় দেরি হওয়ার জন্য় নাইসেড-এর নামে অভিযোগ করেছে স্বাস্থ্য় দফতর। একটি টুইটে দফতর জানিয়েছে, নাইসেড-এর দেওয়া কিট-এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে রাজ্য়কে।  যে টেস্ট কিট নাইসেড সরবরাহ করেছে, তা ত্রুটিপূর্ণ। বহু ক্ষেত্রেই লালারসের ফল অমীমাংসিত আসছে। ফলে নতুন করে.রোগীর নমুনা পরীক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।  যার ফলে চিকিৎসা পদ্ধতিতে দেরি হচ্ছে। অমীমাংসিত ফল আসায় রোগীর করোনা হয়েছে কিনা জানতে রিপিট টেস্ট করতে হচ্ছে। যে কারণে টেস্ট রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে সবার।...