সংক্ষিপ্ত
- সোমেন মিত্রকে শ্রদ্ধার্ঘ্য় না দিয়েই চলে যেতে হল মুখ্যমন্ত্রীকে
- দেহ আনা হবে শুনে বিধানসভায় গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
- কিন্তু সোমেন মিত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হল না মমতার
- দেহ বিধানসভায় আসার আগেই চলে যেতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে
অপেক্ষা করেও শেষে হাল ছাড়লেন। কাজের কারণে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রকে শ্রদ্ধার্ঘ্য় না দিয়েই চলে যেতে হল মুখ্যমন্ত্রীকে। বিধানসভায় প্রয়াত কংগ্রেস নেতার দেহ আনা হবে শুনে সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শেষ শ্রদ্ধা জানানো হল না। দেহ বিধানসভায় আসার আগেই চলে যেতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। যাওয়ার সময় তৃণমূলের মন্ত্রীদের হাতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের কথা বলে যান তিনি। মমতা বলেন, আমার কাজ আছে। আর কতক্ষণ অপেক্ষা করব।
সূত্রের খবর, এদিন বিধানসভায় প্রয়াত নেতার মরদেহ পৌঁছতে দেড়টা বেজে যায়। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ বিধানসভায় আসেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও দেহ না আসায় হাল ছাড়েন তিনি। পরে রাজ্যের ফিরহাদ হাকিম, তাপস রায় এবং নির্মল মাজির হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে বলেন। প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সময়সূচি অনুযায়ী মরদেহ বিধানসভায় আসার কথা ছিল সাড়ে বারোটায়। কিন্তু প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে তা বিধানসভায় ঢোকে। তাই অপেক্ষা করেও সোমেন মিত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বিধানসভা থেকে আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় সোমেন মিত্রের মরদেহ। পরে সেখান থেকেই নিমতলায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় 'ছোড়দা'র।
রাজ্য়ের রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস গড়েন মমতা। সেই সময় রাজ্য় প্রদেশে কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন সোমেন মিত্র। পরে ২০০৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস গড়েন সোমেনবাবু। যদিও নিজের দল থেকে ২০০৯ সালে তৃণমূলে যোগ দেন। মমতার দলে ভিড়ে ডায়মন্ড হারবার থেকে সাংসদও হন। যদিও স্থায়ী হতে পারেননি তৃণমূলে। পরে ফের ফিরে যান কংগ্রেসে। পরে অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে ২০১৮ সালে ফের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে আনা হয় সোমেন মিত্রকে।