সংক্ষিপ্ত
- করোনা আবহে টান পড়েছে রাজ্য়ের কোষাগারে
- এবার নিজেই প্রধানমন্ত্রীকে জিএসটি বাবদ চিঠি মমতার
- রাজ্য়ের বকেয়া দিতে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী
- বকেয়া না মেটালে কেন্দ্রের প্রতি আস্থা হারাবে রাজ্য়
করোনা আবহে এমনিতেই 'ভাড়ে মা ভবানী' অবস্থা রাজ্য়ের কোষাগারের। দেরি হচ্ছে দেখে এবার নিজেই প্রধানমন্ত্রীকে জিএসটি বাবদ রাজ্য়ের বকেয়া দিতে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী। বকেয়া না মেটালে কেন্দ্রের প্রতি আস্থা হারাবে রাজ্য় বলেও আক্ষেপ করেছেন মমতা। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এরকম হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য় করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী।
বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার আবহে জিএসটি আদায়ের পরিমাণ কমেছে। এরকম একটা সময়ে ঘাটতির টাকা কেন্দ্র দিতে পারবে না বলে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে। যদিও টাকা না দিলেও রাজ্যগুলিকে ঋণ নেওয়ার সুবিধার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেছেন এটা কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য়ের সঙ্গে প্রতিশ্রতি ভঙ্গ করছে। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে এই কথার উল্লেখগুলি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি মমতা। জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের বিষয়ে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির মন্তব্য়ের কথাও উল্লেখ করেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ২০১৩ সালে অরুণ জেটলি বলেছিলেন, তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেবে না। তাই জিএসটি রূপায়ণের বিরোধিতা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু ১৪ মার্চ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, জিএসটি ক্ষতিপূরণ দিতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, নিজেদের সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারছে না বিজেপি।
সম্প্রতি জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে কেন্দ্রের রাজস্ব সচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডে জানান, এরকম একটা অবস্থায় রাজ্যগুলির সুবিধার্থে কম সুদে ৯৭ হাজার কোটি টাকা ধার দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে ২০২২ সালের মধ্যে সেই ঋণ শোধ করতে হবে রাজ্য়গুলিকে। কোন রাজ্য় কত টাকা ঋণ নিতে চায় তা সাতদিনের মধ্য়ে জানানোর কথা বলা হয়েছে। এদিন চিঠিতে যার বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী।