সংক্ষিপ্ত

তৃণমূল সূত্রে খবর আগামী ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ পুরভোটের প্রচারে শেষ দিনে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই পরপর চারটি সভা রয়েছে তাঁর। আর তা নিয়ে বর্তমানে বিস্তর চাপানউতর চলছে শাসক দলের অন্দরে।

আগামী ১৯ তারিখ ভোট দিতে চলেছে কলকাতা। এদিকে দিন যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে পুরভোটের উত্তাপ। এদিকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর ইতিমধ্যেই জোরকদমে প্রচারাভিযানে নেমে পড়ছে শাসক বিরোধী প্রতিটা দলের প্রার্থীরাই। তালিকায় রয়েছে বেশ কিছু বড় মুখও। এমতাবস্থায় এবার পুরভোটের(KMC POLLS) প্রচারে নামতে চলেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তৃণমূল সূত্রে খবর আগামী ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ পুরভোটের প্রচারে শেষ দিনে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই পরপর চারটি সভা রয়েছে তাঁর। আর তা নিয়ে বর্তমানে বিস্তর চাপানউতর চলছে শাসক দলের অন্দরে।

এদিকে অনেকেই বলছেন ভোট প্রচারে বিজেপি বর্তমানে যেভাবে গয়ং গচ্ছংমনোভাব দেখাচ্ছে তাতে তৃণমূলের জয়ের রাস্তা এখন থেকেই অনেকটা প্রশস্ত। সেই সঙ্গে শেষ বিধানসভা ভোটের(Assembly Polls) ফলে নজর দিলে দেখা যাবে আদপে এগিয়েই রয়েছে তৃণমূল। কিন্তু তারপরেও বিরোধীদের একবিন্দু মাটি ছাড়তে নারাজ শাসক দল। তাই প্রচার পর্বের একদম শেষে মাঠে নামতে চলেছে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ১৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ কলকাতার চারটি বিধানসভা এলাকায় সভা করবেন মমতা। বাঘাযতীন যুব সংঘের মাঠে টালিগঞ্জ এবং যাদবপুর বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভা করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। এরপর বেহালা পূর্ব এবং বেহালা পশ্চিমের তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করতে পারেন তিনি। আর তা নিয়েই বর্তমানে সাজসাজ রব শাসক দলের অন্দরে।

আরও পড়ুন- সাপের উৎপাতে নাজেহাল বর্ধমানবাসী, ফের গোখর উদ্ধার ভাতার কৃষি মাণ্ডিতে

অন্যদিকে পুরভোটের প্রচার শেষ হবে ১৭ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায়। তার আগে ঘাসফুল শিবিরের এই পদক্ষেপ তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক বলেই মনে করছেন সকলে। এদিকে পুরভোটের রণকৌশল তৈরি করতে শনিবারই বৈঠকে বসে তৃণমূল। ১৪৪ জন প্রার্থীকে নিয়ে বৈঠকে বসছে দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা। বৈঠকে প্রার্থীরা ছাড়াও ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। এদিকে তৃণমূলের প্রার্থী পদ নিয়ে দলের অন্দরেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসন্তোষ দেখা যায়। এমনকী একদফা প্রার্থী পদ প্রকাশ করেও তা বদলে বাধ্য হয় দল। পরবর্তীতে খোদ মমতার হস্তক্ষেপে দলীয় অসন্তোষ ঠেকানো গেলেও আগুন যে ধিকি ধিকি জ্বলছে তা আঁচ করতে পারছিলেন অনেকেই। এমনকী এর ফলে গোষ্ঠী কোন্দলের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। আর সেকারণেই এবার রণকৌশল ঠিক করতে একেবারে পুরভোটের ময়দানে নেমে পড়ছেন মমতা, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।