সংক্ষিপ্ত
- করোনা রোগীর অ্যাম্বুল্য়ান্স পেতে সমস্যা
- সমাধানে এগিয়ে এল রাজ্য় সরকার
- কলকাতা পুরসভায় হয়ে গেল বৈঠক
- কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল সেই বৈঠকে
করোনা রোগীর অ্যাম্বুল্য়ান্স পেতে সমস্যা হলে সমাধান করবে রাজ্য় সরকার। সেই কারণে কলকাতা পুরসভায় হয়ে গেল একপ্রস্থ বৈঠক। ঠিক হয়েছে, এবার থেকে অ্যাম্বুল্য়ান্স পেতে বেশি টাকা দিতে হবে না রোগীর পরিবারকে। স্বাস্থ্য় ভবন বা কলকাতা কর্পোরেশনে ফোন করলেই পাওয়া যাবে সেই পরিষেবা।
আজ কলকাতা কর্পোরেশনে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাক্তার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ,ডাক্তার শান্তনু সেন, সহ কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বৈঠকের মূল বিষয় ছিল এদিন অ্যাম্বুলেন্স সমস্যা বেশ ।কিছুদিন ধরে অ্যাম্বুল্যান্সে বেশি টাকা দাবি করা হচ্ছিল ভাড়ার ক্ষেত্রে ।সেহেতু আজ এক বৈঠক হয় বৈঠক শেষে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ভবন শুধুমাত্র কলকাতার মহানাগরিক জন্য ১১০ থেকে ১১৫টি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করছে ।আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই এই ব্যবস্থা হয়ে যাবে ।
এর পাশাপাশি কলকাতা কর্পোরেশনের নিজস্ব কিছু ব্যবস্থা করেছে। যার সংখ্যা ২৫। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই ব্যবস্থা ৩০টি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় । এর পাশাপাশি তিনি আজ কোভিড রোগীর সমস্যা সংক্রান্ত কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, একটি হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স না পেলে সরাসরি স্বাস্থ্য ভবন বা কলকাতা কর্পোরেশনের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানাতে পারবেন। সেখান থেকেই তাদের সরাসরি অ্যাম্বুল্যাান্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
কারণ এই দুটি জায়গার কন্ট্রোল রুম ২৪ঘণ্টা মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্যই খোলা রয়েছে । যদি কোনও নন কোভিড পেশেন্ট কোনও হাসপাতাল বা ছোট নার্সিংহোমে ভর্তি থাকাকালীন কোভিডে আক্রান্ত হন, তখন কোভিড হাসপাতালে যাওয়ার জন্য তাকে ছোটাছুটি করতে হবে না । সরাসরি স্বাস্থ্য ভবন, কলকাতা কর্পোরেশনে যোগাযোগ করলেই কাজ হবে। সেখানে সেই হাসপাতাল, নার্সিং হোম এর দায়িত্ব এই জায়গা থেকে ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স রোগীকে পাইয়ে দেওয়া।
সে ক্ষেত্রে কিছুটা সময় দেরি হলেও সঠিক ভাড়ায় অ্যাম্বুল্য়ান্স পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা কর্পোরেশনের তরফ থেকে যে অ্য়াম্বুল্যান্স-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাতে থাকছে জিপিএস-এর ব্যবস্থা। লোকেশন নিশ্চিত করতে সুবিধা হবে। অন্যদিকে, তিনি জানিয়েছেন করোনায় কেউ আক্রান্ত হলে তাকে বা তাদের সরকারি রিকুইজিশন দিয়ে কোভিড হাসপাতালে সুনিশ্চিত করা যাবে। সেক্ষেত্রে একটি রেফারেল নম্বর দেওয়া হবে। অর্থাৎ মানুষকে আর বেশি দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না। শুধু সঠিক সময়ে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করলেই সমস্য়ার সমাধান হবে।