সংক্ষিপ্ত

  • চার নেতার গ্রেফতারিতে স্বস্তিতে ম্যাথু স্যামুয়েল
  • বহু প্রতিক্ষিত গ্রেফতারিতে খুশি তিনি
  • এই গ্রেফতারিতে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন তিনি
  • শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশ্ন স্যামুয়েলের

তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সিবিআইয়ের আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার তৃণমূলের তাবড় তিন মুখ, গ্রেফতার বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসা শোভন চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রের মত নেতাকে। এদিকে, এই গ্রেফতারিতে স্বস্তিতে নারদা স্টিং অপারেশনের প্রধান ম্যাথু স্যামুয়েল। 

তবে এই গ্রেফতারিতে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি এই গ্রেফতারি বেশ স্বস্তির। বহু প্রতিক্ষিত গ্রেফতারিতে খুশি তিনি। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। আইন সবার জন্য একই থাকা উচিত। শুভেন্দুর বিরুদ্ধেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ ছিল। তাহলে তাকে ছাড় দেওয়া হল কেন। 

ম্যাথু স্যামুয়েল এদিন বলেন এই বিচারের জন্য অপেক্ষা করতে হল বেশ কয়েকটা বছর। তবে এর জন্য যে সময় লাগবে, তা বোঝাই গিয়েছিল। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে নারদের স্টিং অপারেশনের মুখে শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-সাংসদকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। সেই ভিডিও দেখেছিল সারা পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশ। এবং যার বড়সড় প্রভাব পড়েছিল রাজ্য-রাজনীতিতে। 

সিবিআই সূত্রে খবর, যে সময়ে এই মামলা শুরু হয়েছিল , তখন সাংসদ ছিলেন শুভেন্দু। তাই তাঁর ক্ষেত্রে অনুমদন দেবেন লোকসভার অধ্যক্ষ। উল্লেখ্য, নারদামামলায় অভিযুক্ত তৎকালীন ৪ বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআইকে চার্জশিট পেশ করার অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। এই চার নেতা হলেন ববি হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদের মধ্যে প্রথম তিন জন আবার নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। প্রথম তিনজনই তৃণমূলের। কিন্তু পরবর্তীতে বিজেপিতে যোগ দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রার্থী না করায় বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেন শোভন। 

এখন প্রশ্ন উঠেছে, এই বিধায়কদের জন্য বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি কি চাওয়া হয়েছেল। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেছেন, 'কোনও চিঠিই পাইনি।' এরপর সিবিআইয়ের একটি সূত্র জানায়, রাজ্যপালের থেকে চার্জশিট দেওয়ার অনুমতি পাওয়ার ফলে দুর্নীতি দমন আইনের সাত নম্বর ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।'