সংক্ষিপ্ত

পেনশন বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা যায় ফিরহাদকে। 

পেনশন বিতর্কে গত দুদিন ধরেই জেরবার কলকাতা পৌরসভা।  যদিও বিতর্কে জল ঢেলে একাধিকবার সাধারন মনুষকে অভয় দিয়েছেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র (Mayor of Kolkata Municipality) ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু তারপরেও কমছে না জনমানসের উদ্বেগ। এমতাবস্থায় পেনশন বিতর্ক সহ একাধিক ইস্যুতে ফের মুখ খুলতে দেখা গেল ফিরহাদকে (Mayor of Kolkata Firhad Hakim)। একইসঙ্গে ক্যানেল ওয়েস্ট রোড নিয়েও বার্তা দেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ক্যানেল ওয়েস্ট রোড নিয়ে মানুষের সচেতন হাওয়া। দখলদারি দেখলেই মানুষের প্রতিবাদ করা উচিত। সাধারণ মানুষকে আবেদন জনাবতারা ছবি তুলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ পাঠিয়ে দিলে ভালো হয়। খাল যদি দখল হয়ে যায় তাহলে জল জমা সমস্যা তৈরি হবে। বেআইনি পার্কিং নিয়ে ফাইন করা হবে। প্রয়োজনে  পুর নগর উন্নয়ন দফতরের কে জানানো হবে গোটা বিষয়টিই। নির্দিষ্ট হকার নীতি তৈরির বিষয়েও আলোচনা চলছে।"


অন্যদিকে পেনশন বিতর্ক নিয়ে ফিরহাদ বলেন, "চিন্তার কোনও কারণই নেই। অনেক সময় পেনশন নিয়ে সমস্যা হয় অনেক করবে পেনশন আটকে তাকে। পেনশন ও স্যালারি আমরা আটকে রাখতে চাইনা।  সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে পুরো বিষয়টাই খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।" একইসঙ্গে কলকাতা পৌরসভার একাধিক জায়গায় নিকাশি ব্যবস্থার মানোন্নয়ন নিয়ে ফিরহাদ বলেন, "১০৮ নম্বরে ড্রেনেজ সিস্টেম নেই। এটা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। কারণ সেপটিক ট্যাংকে করে নিকাশির ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। গতকাল কাউন্সিলর সেই কথা বলছিলেন।  আমরা গোটা বিষয়টিই পর্যালোচনা করে দেখছি।"

আরও পড়ুন-ভেস্তে গেল কংগ্রেসের সাথে জোট, ইংরেজবাজার পৌরসভাতেও একলা চলো-র ডাক বামেদের

আরও পড়ুন- কতবার ধর্ম বদলেছেন কবীর সুমন, তাঁর কর্মকাণ্ডকে আদৌও কী মান্যতা দেয় ইসলাম ধর্ম
অন্যদিকে এদিন একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করার পাশাপাশি রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা যায় তাঁকে। রীতিমতো কটাক্ষবান শানিয়ে তিনি বলেন, "রাজ্যপালের মর্যাদা তিনি রাস্তায় নিয়ে এসেছেন। রাজ্যপাল একটা অভিভাবকের কাজ করেন। কিন্তু রাজ্যপাল মাসী দের মত ঝগড়া করছেন তিনি। উনি আসলে বিজেপির তাবেদারি করতে এসেছেন। রাজ্য সরকারকে তিরস্কার করা মানে বাংলার মানুষ কে তিরস্কার করা। আজকে হাওড়া নির্বাচন করতে দিচ্ছে না। বালি নিয়ে রাজনীতি করছে। কলকাতা পুরভোটের ফল দেখে বিজেপি বুঝে গেছে যে হাওড়ায় হারবে বিজেপি। তাই এটা করা হচ্ছে।"