সংক্ষিপ্ত

বড়দিনের আমেজে মাতোয়ারা বো ব্যারাক। গতবছর কোভিডের জেরে উৎসব বাতিল করেছিল বো ব্যারাক রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন,তবে এবার একেবারে যথাযত আড়ম্বরে ক্রিসমাসের উৎসবে মাতল এলাকা।

 

শহরের বুকে এ এক অন্য কলকাতা।গতবছর কোভিডের (Coronaviris) জেরে উৎসব বাতিল করেছিল বো ব্যারাক রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। তবে এবার একেবারে যথাযত আড়ম্বরে ক্রিসমাসের উৎসবে মাতল এলাকা ( Christmas Celebration at Bow Barracks)। যার পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে দীর্ঘ ৮০ বছরের ইতিহাস। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

 

 

২০২০ সালে করোনার পরিস্থিতির কারণে উৎসব বাতিল করেছিল বো ব্যারাক রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। তবে এ বছর ফের খ্রিস্টমাসের আমেজ এই পাড়ায়।উল্লেখ্য, দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর পর ফের নতুন রঙ পড়েছে পলেস্তরা খসে পড়া দেওয়ালের গায়ে।  চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে, বউবাজার থানার  পিছনের গলি দিয়ে খানিক এগোলেই সেই আয়তকার চাতাল। লাল ইটের পাঁজর নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে। যার পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে দীর্ঘ ৮০ বছরের ইতিহাস। শোনা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলে আমেরিকান সৈনদের  জন্যই এই ব্যারাকের পত্তন। যুদ্ধের পর খালি ব্যারাকের পুরোটাই দখল করে নেন কলকাতার এক প্রাচীন জনগোষ্ঠী।

আয়তকার এই মহল্লা  ডিসুজা, ডিরজিও, ক্রিস্টেফার, অগাস্টিনদের। এখানে মোট ৩২ টি পরিবারের বসবাস। ক্রিসমাস ট্রি, সান্তাক্লজ, রঙ-বেরঙের বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা এলাকা। ফি বছর এখানে ভীড় করেন শহরের মানুষ। তবে বড়দিনের মরশুমে এই পাড়ার ব্য়স্ততা অনেকটাই বেশি। পার্কস্ট্রিট, সেন্ট ক্য়াথিড্রালের মতোই বড় দিনের মরশুমে শহরের অন্যতম গন্তব্য বো ব্যারাকস। এবারও সেই ছবিই ধরা পড়েছে। কারও কথা বলার সময় নেই. চূড়ান্ত ব্যাস্ত মহল্লবাসী। চাতালের দুঃস্থ বাচ্চাদের খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো মহল্লা জুড়ে এখন উৎসবের আমেজ। তবে এই এলাকার জেনারেশন ওয়াই বেশিরভাগই এখন কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন। তবে বছরের এই সময়টা পৃথিবীর যে প্রান্তেই তার থাকুক না কেন, সকলেই প্রায় ফিরে আসেন এই মহল্লায়। লন্ডন থেকে ডিসুজা কিংবা মার্কিন মুলুক থেকে ফিরে আসেন কোনও এক অগাস্টিন।

 

 

অপরদিকে, বড়দিন আসার আগে এখানে চলে নানা কর্মকাণ্ড। অনেকেই এখানে নিজের হাতে রেড ওয়াইন তৈরি করেন।এরপর শুরু হয় বিক্রি।পাশাপাশি তালিকায় থাকে মোমো এবং কেকও। সবমিলিয়ে জমে ওঠে বো ব্যারাক। আয়তকার এই চাতালের ডান দিকে গেলে বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভা এবং বাদিকে এক শতাব্দী প্রাচীন মেনেকজি রুস্তমজি পার্সি ধর্মশালা। যেখানে পার্সি খাবারের জন্য ভিড় থাকে উৎসবের মরশুমে। তবে এটি কোনও রেস্তরা নয়, দুদিন আগে এখানকার নম্বরে যোগাযোগ করতে হয়, ওনারা মেনুর অর্ডার পাঠিয়ে অর্ডার নেন। ভোজনরসিকরা ভিড় জমান এখানে।