সংক্ষিপ্ত
দ্রুত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কালীঘাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চারপাশের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। ঘটনাটি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ।
কড়া নিরাপত্তার বেড়া ডিঙিয়ে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকে পড়ল দুষ্কৃতী। পুলিশ সূত্রে খবর এক ব্যক্তি কোনও ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। কোন উদ্দেশ্যে ওই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করেছিল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে রবিবার সকালে ওই ব্যক্তির উপস্থিতি টের পান কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয় তাকে। কোনও সন্দেহজনক উদ্দেশ্য নিয়েই ওই ব্যক্তি ঢুকেছিল বলে মনে করছে পুলিশ।
দ্রুত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কালীঘাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চারপাশের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। ঘটনাটি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর, শনিবার গভীর রাতে গার্ডরেল টপকে ঢুকে পড়েন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তা কেউ টেরই পাননি। রবিবার সকালে তাঁকে দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা। এর পর ওই ব্যক্তিকে ধরে কালীঘাট থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষীরাই ওই ব্যক্তিকে প্রথম দেখতে পান বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। পুলিশ এবং তদন্তকারী সংস্থা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে লালবাজার।
কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি এবং তার আশেপাশের এলাকা হাই সিকিওরিটি জোনের মধ্যে পড়ে। সেখানে নজরদারি এড়িয়ে ওই ব্যক্তি কী ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকতে সক্ষম হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ওই ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক বলে দাবি পুলিশের। তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। তাঁর নাম-পরিচয়, কাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ, এ সব জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
বিষয়টি জানতে পেরে কলকাতা পুলিশের শীর্ষ নেতৃত্ব, কমিশনার বিনীত গোয়েল, ডিজি মনোজ মালব্য মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আসেন। পৌঁছয় বম্ব স্কোয়াড, স্নিফার ডগ। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে যাতে কোথাও কোনও গাফিলতি না থাকে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "খুবই চিন্তার ব্যাপার। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরি। কী ভাবে নিরাপত্তার বলয় ভেঙে একটা লোক ঢুকে গেল, দেখা দরকার। আশাকরি পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।" এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নিরাপত্তায় এমন গাফিলতি দুশ্চিন্তা বাড়ায়। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়েই যদি চিন্তা করতে হয়, তবে জটিলতা আরও বাড়ে। গার্ডরেল টপকে কীকরে ওই ব্যক্তি ঢুকল, তা নিয়ে তদন্ত হোক।
রাজযোগ চলছে দ্রৌপদী মুর্মুর, জেনে নিন বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর কুণ্ডলী
তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে নব নির্বাচিত মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি, তুঙ্গে বিতর্ক
এবার কি বাংলায় অপারেশন লোটাস? হায়দরাবাদে বিজপির বৈঠকে তেমনই বার্তা অমিত শাহের