সংক্ষিপ্ত

 

  • শহর শিলিগুড়ির  রবীন্দ্রনগর এলাকার বহু পরিচিত ক্লাব রবীন্দ্র সংঘ।
  • এবার ৬৭ তম বর্ষে এবারের থিম মাতৃ ঋণ। 
  • একেবারে বাইরে থেকে মণ্ডপটি দেখতে পুরোনো এক বাড়ি।

নিছক পুজো নয়। নেই কোনও আড়ম্বর। তবে সীমিত আয়োজনে যে বার্তা তুলে ধড়া হয়েছে তা অবশ্য কুর্নিশযোগ্য। 

শহর শিলিগুড়ির  রবীন্দ্রনগর এলাকার বহু পরিচিত ক্লাব রবীন্দ্র সংঘ। ৬৭ তম বর্ষে এবারের থিম মাতৃ ঋণ। সাদামটা থিমের সাহায্যে তুলে ধড়া হয়েছে সমাজের অবক্ষয়। একই সঙ্গে দেখানে হয়েছে সেই অবক্ষয় রোধের পথ। 

একেবারে বাইরে থেকে মণ্ডপটি দেখতে পুরোনো এক বাড়ি। কোথাও খসে পড়েছে পলেস্তারা, কোথাও আবার ঝুলছে মাকড়সার জাল। সেই ঘরের দোরগোড়ায় মলিন শাড়িতে আস্তাকূড়ের মতো বসে রয়েছেন বৃদ্ধা মা ৷ সঙ্গে রয়েছে পুঁটুলি ভরা জামাকাপড়। মণ্ডপের প্রবেশদ্বারে এমন এক দৃশ্যের মাধ্য়মে সামজের বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে পুজো কমিটি।  

মণ্ডপের ভিতরে ঢুকেই চোখে পড়বে মায়ের স্নেহ, ভালোবাসায় লালিত হচ্ছে শিশু ৷ আরও একটু এগোলে দেখা যাবে ইঁদুর ধরার কলে দৌড়াচ্ছে অসংখ্য পা ৷ শার্ট দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপের অন্দরসজ্জা ৷ এক-এক ধরনের শার্ট এক একটি পেশাকে তুলে ধরেছে ৷ মায়ের যত্নে বড় হয়ে প্রতিষ্ঠিত সকলে ৷ কিছুটা দূরেই মা দুর্গা ৷ পাশে থমকে যাওয়া একটি ঘড়ি ৷ দুর্গাকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ৷ দেখানো হয়েছে, মানুষ প্রতিষ্ঠিত হলেও তাদের জগতে জায়গা নেই বৃদ্ধা মায়ের ৷ যারা অসহায়। ঠাঁই হয় ফুটপাথ বা বৃদ্ধাশ্রমে।

ক্লাব সম্পাদক অভ্র ধর বলেন, সংবাদ মাধ্যম সূত্রে কয়েকদিন আগে জানতে পেরেছি একজন বৃদ্ধা নিজস্ব বাসভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সেই ঘটনার পরই এই থিম নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। আমরা চাই যাতে আগামীতে কোনও মা'কে অসহায়ভাবে আস্তাকুঁড়ের মতো পড়ে থাকতে না হয় ইতিউতি।