সংক্ষিপ্ত

  • দেশের শহরগুলির পানীয় জলের বিচারে সেরা তকমা পেল মুম্বই
  •  সবথেকে খারাপ অবস্থা রাজধানী দিল্লির
  •  খারাপের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে কলকাতা
  •  ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্য়ানডার্ডস-এর রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য 

দেশের শহরগুলির পানীয় জলের বিচারে সেরা তকমা পেল মুম্বই। সবথেকে খারাপ অবস্থা দিল্লির। খারাপের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে কলকাতা। ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্য়ানডার্ডস বা (বিআইএস)-এর রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

নিরাপদ ভেবে এতদিন চলছিল ক্ষতিকারক জল পান। কলকাতার রাস্তার জল নিয়ে যারা গর্ব করতেন বিআইএস-এর রিপোর্টের পর হতবাক হয়েছেন তাঁরাও। কারণ দেশের ২১টি বড় শহরের মধ্য়ে খারাপ জলের তালিকায় দিল্লির পরই এসেছে কলকাতার নাম। 

ব্যুরো এব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্ট বলছে, ২৮টি পরীক্ষার মধ্যে ১৯টি পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি দিল্লির রাস্তার কলের জল। তবে রাজধানীর থেকে কিছুটা ভালো অবস্থা কলকাতার। ২৮টি পরীক্ষার মধ্যে ১০টিতে উতরোতে পারেনি তিলোত্তমার জল। তবে এর থেকেও বেশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের বেশকিছু শহরের জল। পরীক্ষাগারের রিপোর্টে দেখে গছে ২১ টির মধ্যে ১৪টি শহরের জলই একটি পরীক্ষা উতরোতে পারেনি। 

২০১২ সালে এই জল পরীক্ষার জন্য নমুনা পরীক্ষার কথা বলেছিল বিআইএস। যার ভিত্তিতেই এই পরীক্ষা। পরীক্ষায় দেখা গেছে,বেঙ্গালুরু,গান্ধিনগর ,পাটনা, লখনউ , জম্মু , চেন্নাই, দেহরাদুনের মতো বেশকিছু নাম করা শহরেও রাস্তার কলের জলের একই অবস্থা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিরাপদ জলের পরীক্ষায় উতরোতে পারেনি এই শহরগুলি। 

ক্রেতা  সুরক্ষা দফতরের এই রিপোর্টে  খোদ দফতরের মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের  দিল্লির বাসভবন থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাদ যায়নি দেওয়া হয়নি কৃষিভবন ও দিল্লির বেশকিছু আবাসনের জলও। কিন্তু সব জায়গায় পরীক্ষা চালিয়েও ২৮টির মধ্য়ে ১৯টি পরীক্ষায় ফেল  করেছে দিল্লি। 

তবে পরিস্রুত পানীয় জলের ক্ষেত্রে ভালে খবরও রয়েছে। মাত্র একটা পরীক্ষায় ফেল করেছে হায়দরাবাদ ও ভুবনেশ্বর। এই দুটি শহরকেই নিরাপদ পানীয় জলের বিচারে য়ুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে রেখেছে  পরীক্ষকরা। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাঁচি ও রায়পুরের নাম। 

প্রশ্ন জাগে কীসের ওপর ভিত্তি করে এই পরীক্ষা চালিয়েছে ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্য়ানডার্ডস। রিপোর্টে বলা হয়েছে, টোটাল ডিসলভ সলিড বা জলে গুলে যাওয়া কঠিনের পরিমাণ, জলে ক্ষারের পরিমাণ ও খনিজ লবণের ওপর ভিত্তি করেই জলের মান নির্ধারণ করা হয়েছে। সবকিছু গেবষমাগারে পরীক্ষা করেই এই সিদ্ধান্তে এসেছে সংস্থা।