সংক্ষিপ্ত

বিধান নগরে রবিবাসরীয় প্রচারে সুজন চক্রবর্তী।  উল্লেখ্য, রবিবার ৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধীর ৭৪তম মৃত্য়ু বার্ষিকী। এমনদিনেই রাজ্যপালকে সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া 'হিংসা'-র ইস্যুতে তীব্র নিশানা করলেন সুজন চক্রবর্তী।  

বিধান নগরে রবিবাসরীয় প্রচারে সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। বিধান নগর করপোরেশনের ৩২ নাম্বার ওয়ার্ডে সিপিআইএম প্রার্থী সুকান্তা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের হয়ে পুরভোটের প্রচারে (Municipal Elections 2022 )আসেন এদিন সুজন চক্রবর্তী। কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করে ভোট প্রচার করেন। উল্লেখ্য, রবিবার ৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধীর ৭৪তম মৃত্য়ু বার্ষিকী (Mahatma Gandhi Death Anniversary  )। এমনদিনেই রাজ্যপালকে (Jagdeep Dhankhar ) 'হিংসা'-র ইস্যুতে তীব্র নিশানা করলেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, রাজ্যপাল বলছেন, স্বাধীন ভারতে এরকম হিংসা উনি দেখেননি। রাজ্যপাল কী ভুলে গেছেন, ভারতবর্ষের সব চাইতে বড়ো হিংসা যেটা বিপদজ্জনক তা ঘটিয়েছিল আরএসএস। মহাত্মাগান্ধীকে খুন করার মধ্যে দিয়ে।' 

প্রচারের পর সুজন চক্রবর্তী জানান, 'নির্বাচনের পরে যে হিংসা দেখা গেছে স্বাধীনতার পরে তেমন আর কখনও দেখা যায়নি। পশ্চিমবঙ্গের পবিত্র ভূমিকে এই ভাবে দেখতে পারব না। রক্তাক্ত হতে দেখতে পারব না।পশ্চিমবঙ্গের মানবাধিকার লুণ্ঠিত। যেটা আমি দেখতে পারব না বলছেন রাজ্যপাল। সেই নিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যপাল সারাদিন এত কথা বলছেন যেন মনে হচ্ছে রাজ্যপাল একটা রাজনীতির জন্য এসেছেন। এটা ঠিক হচ্ছে না।রাজ্যপালের পক্ষে এটা সমীচিন নয়। পশ্চিমবাংলায় ভোট পরবর্তী শুধু না ভোট পরবর্তী ও ভোটের আগে যে ভাবে হিংসা হয়েছে এবং তৃণমূল যে হিংসা করেছে। তাঁর নিন্দার কোনও ভাষা নেই। বিপদজনক।এবং সেগুলো অবশ্যই প্রশাসনিকভাবে দেখা যাদের কর্তব্য, তাঁদের দেখা উচিত। কিন্তু রাজ্যপাল বলছেন, স্বাধীন ভারতে এরকম হিংসা উনি দেখেননি।আমি শুধু মনে করিয়ে দিই স্বাধীনতার পর ভারতবর্ষের সব চাইতে বড়ো হিংসা যেটা বিপদজ্জনক তা ঘটিয়েছিল আরএসএস। মহাত্মাগান্ধীকে খুন করার মধ্যে দিয়ে। রাজ্যপাল কী সেটা ভুলে গেছেন। রাজ্যপালের কাজে কর্মে আরএসএস খুশি হবে এটা যেনও না হয়।' 

আরও পড়ুন, 'পেগাসাস থেকে বাঁচবার জন্য গান্ধীজির মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে বিজেপি', বিস্ফোরক ফিরহাদ

অপরদিকে, 'রাজ্যপালের পাশে ছিলেন প্রফেশনাল কিলার। উনি প্রফেশনাল কিলার অর্জুনকে নিয়ে ঘুরছেন। তাই আমি প্রতিবাদ জানিয়ে ওনার পাশে যায়নি', বলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলছেন রাজ্যপালের পাশে সে যে প্রোফেসনাল কিলার।আমি বলছি কথাটা প্রায় ঠিকই বলেছেন ।তার সঙ্গে যোগ করে দিন যে, প্রোফেসনাল কিলার উনি যাকে বলছেন, তিনি রাজ্যপালের পাশে , তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাতা ধরে বড়ো হয়েছেন। বিকাশ বসু খুন হয়ে যাওয়ার পরও মঞ্জু বসুদের অভিযোগ থাকার পরেও তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা অর্জুন সিংকে সঙ্গে রেখে একই পার্টি করেছেন।অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে একই ছাতার তলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরা ছিলেন।'