সংক্ষিপ্ত
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই সর্বদলীয় বৈঠক চাইছে বামেরা। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে চারটি পুর-নিগমের ভোটের তারিখ পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।
দিন যত গড়াচ্ছে ততই গোটা রাজ্যজুড়ে বাড়ছে করোনা উদ্বেগ। এদিকে কলকাতা পুরভোট পর্ব শেষ হতেই রাজ্যের অন্যান্য পৌরসভাগুলিতে ভোটের প্রস্তুতি(Preparations for voting in municipalities) শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে চলতি মাসের শেষেই ভোট রয়েছে রাজ্যের একাধিক পুরনিগমে। ভোট রয়েছে শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগরে(Siliguri, Asansol, Chandannagar)। কিন্তু করোনা বাড়বা়ড়ন্ত দেখে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ভোট নিয়ে। ইতিমধ্যেই ভোট পিছানোর দাবি সরব হয়েছে বিজেপি। একই সুর শোনা গিয়েছে বামেদের গলায়। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত রাজ্যে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিল সিপিআইএম(CPIM)। করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে নির্বাচন সম্ভব, কীভাবে কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা(Dealing with covid situations) করা করে ভোটের আয়োজন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতেই তারা দ্রুত বৈঠকের দাবি জানিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই সর্বদলীয় বৈঠক চাইছে বামেরা। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে চারটি পুর-নিগমের ভোটের তারিখ পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে(Election Commission) চিঠি দিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু(Left Front Chairman Biman Basu)। রাজ্য বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এই বিষযে বিবেচনা করে দেখার আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সিপিআইএমএল লিবারেশন-এর রাজ্য কমিটিও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে বলেছে বলে খবর। যা নিয়েই বর্তমানে নতুন চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এদিকে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও রাজনৈতিক কর্মীদের একাংশ কোভিডে আক্রান্ত। আর সেকথা মাথায় রেখেই ভোটের দিনক্ষণ পুর্নবিবেচনা করার দাবি জানিয়েছে বামেরা। রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর বক্তব্য, গত ৩০ ডিসেম্বর বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে কমিশনকে পুরভোট নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখনও এই বিষয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করা হয়নি। তাই ফের দরবার।
আরও পড়ুন-কলকাতায় বাড়ছে করোনার দাপট, ফের বন্ধ হয়ে গেল কালীঘাটের গর্ভগৃহের দরজা
অন্যদিকে সিপিআইএমএল-র দীপঙ্কর ব্রিগেডের(Dipankar Brigade of CPIML) দাবি, করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই রাজ্যে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। আক্রান্ত শতাধিক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই অবস্থায় মানুষের পাশে থাকাই সবথেকে বেশি দরকার। তাই এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ভোট নিয়ে অবিলম্বে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৪২১, বুধবার যে সংখ্যাটা ছিল ১৪ হাজার ২২। তাই একদিনে বেড়ে গিয়েছে ১ হাজার। অন্যদিকে বুধবার রাজ্যে যেখানে পজেটিভিটি হার ছিল ২৩.১৭ শতাংশ, বৃহস্পতিবার সেটাই বেড়ে হয়েছে ২৪.৭১ শতাংশ। তাই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ভোট কী করে সম্ভব সেই প্রশ্নই জোরালো হচ্ছে ক্রমশ।