সংক্ষিপ্ত
- ন্যাশনাল ইনসুরেন্স-এর মেডিক্লেমের প্রিমিয়াম বাড়ল তিনগুন
- আগামী ১ অক্টোবর থেকে এই নির্দেশিকা জারি হবে
- ইতিমধ্যেই নতুন প্রিমিয়াম-এর তালিকা পৌঁছে গেছে সব অফিসে
- এই স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় মানুজন
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনসুরেন্স-এর মেডিক্লেমের প্রিমিয়াম এবার থেকে এক লাফে তিনগুন বাড়তে চলেছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এই নির্দেশিকা জারি হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই নতুন প্রিমিয়াম-এর তালিকা পৌঁছে গেছে সমস্ত অফিসে।এই স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বিমার আওতাভুক্ত মানুজন ও এজেন্টরা।
করোনা আবহে আয় কমে যাওয়ায় অনেকেই প্রিমিয়ামের টাকা জমা দেওয়ার অবস্থায় নেই। এর ওপর প্রিমিয়াম এতটা বাড়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে যদি তারা প্রিমিয়ামের টাকা জমা দিতে না পারে তাহলে তারা চিকিৎসা পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত হবেন। দেশজুড়ে প্রায় ৮ লক্ষ বিমা এজেন্ট আর্থিক ক্ষতির মুখে। কারণ প্রিমিয়াম জমা না পড়লে তারাও কমিশন পাবেন না। তারা চাইছেন ন্যাশনাল ইনসিওরেন্স পলিসির প্রিমিয়াম রেট কমানো হোক।
এমনটাই জানিয়েছেন গ্রাহকরাও। বিভিন্ন বয়সের ক্ষেত্রে স্ল্যাব অনুযায়ী এই রেট বাড়ানো হয়েছে অস্বাভাবিক হারে। প্রিমিয়াম এর সঙ্গে জিএসটি যুক্ত হওয়ায় একবারে মোটা টাকা তাদের দিতে হবে গ্রাহকদের।দেখা যাচ্ছে যে ষাটোর্ধ কোনও ব্যক্তি এই কোম্পানিতে ২৫ হাজার টাকা বছরে প্রিমিয়াম বেড়ে হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা।এই অবস্থায় অনেকেই মেডিক্লেম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।বেসরকারি কোম্পানিতে ভরসা নেই বলে জানিয়েছেন গ্রাহকরা। ন্যাশনাল ইনসিওরেন্স হাওড়ার সিনিয়র ডিভিশনাল ম্যানেজার দীপঙ্কর দত্ত জানান, পলিসির প্রিমিয়াম রেট বাড়ানো হয়েছে আট বছর পর।এতে গ্রাহক ও এজেন্টদের অসুবিধা হবে বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
কর্পোরেট অফিস থেকেই এই পলিসি রেট ঠিক করা হয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে তাঁরা নতুন হারে পলিসির টাকা নেওয়া শুরু করবেন। সারা দেশে প্রায় ৮ লক্ষ এবং পশ্চিমবঙ্গে আড়াই লক্ষ বিমা এজেন্ট রয়েছে। তাদের বক্তব্য, তারা মানুষের কাছে পলিসি রিনুয়াল করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। করোনা আবহে বেশিরভাগ মানুষের আয় কমে যাওয়ায় তারা এই অতিরিক্ত টাকা দিতে পারবে না বলছেন এবং পলিসির টাকা সংগ্রহ না হলে এজেন্টরাও কমিশনের টাকা থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই এজেন্টরা চাইছেন পুরানো হারে প্রিমিয়াম নিক কোম্পানি। না হলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হবে।
ডিভিশনাল ম্যানেজার জানান,বর্তমানে চিকিৎসা খরচ বেড়েছে,ক্লেম বাড়ছে তাছাড়া ম্যানেজমেন্ট কস্ট তার ওপর এজেন্টদের কমিশন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা ভেবে রেট বাড়ানো হয়েছে।এখন এজেন্ট ও গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে কোম্পানি সিদ্ধান্ত বদল করে কিনা সেটাই দেখার।