সংক্ষিপ্ত

  • কলেজে নতুন  বর্ষের ক্লাস শুরু হবে ১ ডিসেম্বর
  • জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় 
  • উৎসবের কারণেই ক্লাস শুরু হতে দেরি
  • স্যানিটাইজ করা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 
     


চলতি বছর পয়লা  ডিসেম্বর থেকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নতুন শিক্ষা বর্ষ শুরু হবে। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, নভেম্বর মাসে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, জহদ্ধাত্রী পুজো রয়েছে। আর সেই উৎসবগুলির কথা মাথায় রেখেই পয়লা ডিসেম্বর থেকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ২০২০-২১ সালের নতুন শিক্ষা বর্ষ শুরু করার  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলছেন নতুন শিক্ষা বর্ষ শুরু আগে ছাত্র -ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথাও বিবেচনা করবে সরকার।  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানহগুলি স্যানিটাইজ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

 

রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, নভেম্বরে বেশ কয়েকটি উৎসব রয়েছে। পাশাপাশি গোটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্যানিটাইজ করার দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে ডিসেম্বর মাসের নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন শিক্ষা বর্ষ পিছিয়ে যাওয়ায় তেমন কোনও সমস্যা হবে না। স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর স্তরে সেমিস্টার হিসেবে পড়াশুনা হয়। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও অনলাইনে পড়াশুনা শুরু করে দিয়েছে। যেসব পড়ুয়াদের অনলাইনে পড়ার সুবেধে নেই তাদের কোর্স মেটিরিয়াল দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী দিনে অনলাইন ক্লাস চলবে না অফলাইন ক্লাস হব- সেবিষয়ে পরবর্তীকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেলেন এদিন যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে জানান হবে রাজ্যার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 

এক উপাচার্য জানিয়েছেন, প্রথমে পয়লা নভেম্বর থেকেই কলেজগুলিতে স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করার কথা ছিল। ঠিক ছিল ৩১ অক্টোবর ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরই আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ক্লাস শুরু হবে। নভেম্বরের মধ্যে মাস্টার্সডিগ্রিতেও ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হয়েছে। কিন্তু উৎসবের মরসুমের কথা বিবেচনা করে সেখান থেকে পিছিয়ে আসে রাজ্য সরকার। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মহামারির কারণে পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় বাংলা ও বাংলার বাইরের পড়ুয়াদের ভর্তি হতে অসুবিধে হতে পারে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন অনলাইন ক্লাস মডিউল থেকে কোনও পড়ুয়া যাতে বাদ না পড়ে সেই দিকেও নজর দেওয়া হবে। গ্রাম ও শহরকে কী করে জোড়া যায় সেই তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।