সংক্ষিপ্ত
জেলা শাসকের তরফ থেকে প্রকাশিত হলো নতুন নির্দেশিকা অনুসারে বর্তমানে বালি পৌরসভার পূর্বের ১৬ টি ওয়ার্ডকে পুনঃবিন্যাশ করে ৩৫ টি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডকে সংরক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে বলেও দেখা যাচ্ছে।
বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বালি পৌরসভাকে (Bally Municipality)। এবার জেলা শাসকের (district magistrate) তরফে জারি করা নির্দেশিকাকে নিয়ে নতুন করে বাড়ছে বিতর্ক। সহজ কথায় কোভিড আবহে ভোটের জল্পনা জিইয়ে রেখে প্রকাশিত হল বালি পৌরসভার নতুন আসন বিন্যাসের (New seating arrangement in Bali municipality)তালিকা। যা নিয়ে আবারও বিতর্ক দানা বাঁধছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। একই সঙ্গে জেলা শাসকের এক্তিয়ার নিয়েও তুলতে শুরু করেছেন অনেকে। জেলা শাসকের তরফ থেকে প্রকাশিত হলো নতুন নির্দেশিকা অনুসারে বর্তমানে বালি পৌরসভার পূর্বের ১৬ টি ওয়ার্ডকে পুনঃবিন্যাশ করে ৩৫ টি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডকে সংরক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে বলেও দেখা যাচ্ছে। যা নিয়েই মূল বিতর্কের সূত্রপাত।
এদিকে শেষ পাওয়া আপডেটে দেখা যাচ্ছে সংরক্ষিত ১১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে ১ , ৪, ৭, ১০, ১৪, ১৭, ২০, ২৩, ২৬, ২৯, ৩২ নম্বর ওয়ার্ড। যদিও এই নির্দেশিকাতে তপশিলি উপজাতির জন্য কোনো আসন সংরক্ষিত করা হয়নি বলেই দেখা যাচ্ছে। সহজ ভাবে দেখলে মোট ৩৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে সংরক্ষণের আওতায় এসেছে ৩৩ টি ওয়ার্ড। এরমধ্যে ১১ টি ওয়ার্ড সংরক্ষিত করা হয়েছে তপশীল জাতির পুরুষদের জন্য। অন্যদিকে বাকি ২২ টি ওয়ার্ডকে পুরোপুরি ভাবে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে জেলাশাসকের নির্দেশিকা জারির পরেই এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ শানাতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই বলেন, “যেভাবে জেলা শাসক ওই রোস্টার তৈরি করেছে সেটা সংবিধান, গণতন্ত্র ও আইনের অপমান।”
আরও পড়ুন-করোনা ঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত, সংক্রমণ ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক মোদীর
গোটা ব্যাপরটা খোলসা করে দেখলে বিরোধীরা মনে করছেন বালি বিল আইনে পরিবর্তিত না হলে এভাবে রোস্টার বানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দেওয়ার এক্তিয়ার এই মুহূর্তে জেলা শাসকের নেই। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই তিনি তা করাতে বেড়েছে চাপানউতর। উমেশ রাইয়েরও তাই সাফ বক্তব্য, “বালি এখনও হাওড়া পৌরনিগমের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত। কিভাবে জেলা শাসক বালিকে আলাদা করে ফেললেন? ” তাঁর স্পষ্ট দাবি গোটা বিষয়টি কোনোভাবেই আইন সঙ্গত নয়। এই ইস্যুতেই বাংলার সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দাগতে দেখা যায় তাকে। চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে বেআইনি সমস্ত কিছুই আইনি রাস্তায় হেঁটে হয়ে যাচ্ছ। তৃণমূল কংগ্রেস স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালাচ্ছে এই রাজ্যে।”