সংক্ষিপ্ত

৩১শের সকাল থেকেই জেলায় জেলায় জেলায় পুরোদমে শুরু হয়ে যায় বর্ষবরণের প্রস্তুতি। তবে বর্ষবরণের আনন্দের মাঝে যাতে করোনা বিধি সঠিক ভাবে পালন হয় তা নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

২০২০ সালের শুরুতে আছড়ে পড়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ(Second wave of coronavirus)। বর্ষশেষের মুখেও সেই উদ্বেগই এবার যেন নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে। বর্ষবরণের(New Year Eve) মুখে তাই করোনা কাঁটাই এখন সবথেকে বেশি আতঙ্কের দেশবাসীর। তবে করোনা উদ্বেগকে মাথায় রেখেই বর্ষবরণে মেতে উঠেছে তিলোত্তমা। বড়দিনের(Christmas 2021) স্মৃতি ফিরেয়েই মানুষের ঢল নেমেছে কলকাতার রাস্তা। মেতে উঠেছে পার্কস্ট্রিটও(Park Street)। চিড়িয়াখানা(Alipore Zoo) থেকে সায়েন্স সিটি(Scince City) সর্বত্রই উপচে পড়ছে ভিড়। তবে করোনাকে বাগে আনতে পুরোদমে প্রচার চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ(Kolkata Police)। মাস্ক পরার জন্য বারেবারেই চলছে মাইকিং। মাস্ক না পরলে করা হচ্ছে জরিমানা। দিনভর ভিক্টোরিয়া(Victoria) থেকে গড়িহাট চত্বর, বিভিন্ন জায়গায় চলল প্রচার। মাস্ক না পরায় কোথাও দেওয়া হল নতুন মাস্ক, কোথাও আবার পুলিশের বকা খেলেন আম-আদমি। এদিকে ৩১শের সকাল থেকেই জেলায় জেলায় জেলায় পুরোদমে শুরু হয়ে যায় বর্ষবরণের প্রস্তুতি। তবে বর্ষবরণের আনন্দের মাঝে যাতে করোনা বিধি সঠিক ভাবে পালন হয় তা নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

এদিকে বর্ষবরণের আনন্দে মাতোয়ারা গোটা রাজ্যবাসীই। দিঘায় করোনা বিধি ভেঙে উৎসব উদযাপনের অভিযোগ উঠল সেখানে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের বিরুদ্ধে। বিধিভঙ্গে চলে ব্যাপক পুলিশি ধরপাকড়। একইসাথে দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গে বীরভূম থেকে পুরুলিয়ায় ধরা পড়ল উৎসবের আমেজ। এদিকে বর্তমানে করোনা সংক্রমণের নিরিখে গোটা দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলা। দেশে ৮ জেলার মধ্যে কলকাতায় পজিটিভিটি রেট ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে বাংলায় ইতিমধ্যে ১২ জন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলিছে। তবে মেলেনি মৃত্যুর খবর। তবে কলকাতায় হু হু করে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন- কৃষি আইন থেকে পেগাসাস, করোনা যুদ্ধ থেকে বাংলায় তৃণমূলের প্রত্যাবর্তন, একনজরে একুশের কড়চা

গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে এখন থেকেই জোরদার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। পুরসভা সূত্রে, ৫ বা তার বেশি আক্রান্ত, শহরে এরকম ১১টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে চলছে কড়া নজরদারি। এমনকী ওই এলাকার মানুষদের গতিবিধির উপরেও নিয়ে আসা হচ্ছে বেড়াজাল। এদিকে ইতিমধ্যেই করোনা থাবা বসিয়েছে শিয়ালদহের আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ ক্যাম্পাসে। অধ্যক্ষ, চিকিৎসক, নার্সিং স্টাফ মিলিয়ে ক্যাম্পেসের মোট ২৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি শিয়ালদা ডিভিশনের সিগন্যাল ও টেলিকম বিভাগের এক সিনিয়র টেকনিশিয়ান ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে পূর্ব রেলে।