সংক্ষিপ্ত

  • মুর্শিদাবাদের যুবকের মৃত্যুতে করোনা সন্দেহ
  • সন্দেহ নিয়ে চিন্তায় ছিল রাজ্য় স্বাস্থ্য় দফতর
  •  দ্রুত যুবকের দেহের নমুনা পাঠানো হয় পরীক্ষাগারে
  •  স্বাস্থ্য় দফতর জানিয়েছে,মৃত যুবকের দেহে করোনা নেই  

সৌদি আরব ফেরত মুর্শিদাবাদের যুবকের মৃত্যুতে করোনা সন্দেহ দানা বেঁধেছিল রাজ্য়ে। দ্রুত ওই যুবকের দেহের নমুনা পরীক্ষাগারে  পাঠানো হয়েছিল। স্বাস্থ্য় দফতর জানিয়েছে,মৃত যুবকের দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি৷ 

আন্দোলনে মাদকাসক্ত মহিলারা, নিজের মন্তব্য়ের সাফাই দিলেন দিলীপ

রবিবার করোনা ভাইারাসে আক্রান্ত সন্দেহে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে মুর্শিদাবাদের এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি সৌদি আরব থেকে সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে ফিরেছিলেন। সৌদি থেকে ফেরার পরেই জ্বর ছিল শরীরে। প্রথম থেকেই ডাক্তাররা তাকে মুর্শিদাবাদ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখেন। পরে তাঁর রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে বেলেঘাটা আইডিতে। 

দোল নিয়ে দুশ্চিন্তায় শান্তিপুর, ইতিমধ্য়েই এসে হাজির বিদেশিরা

মৃত যুবকের বয়স ছত্রিশ বছর। গতকাল মৃত্য়ুর ঘটনা নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস জানান,"মৃত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই তার রক্তের নমুনা অতি তৎপরতার সাথে বেলেঘাটার নাইসেডে পাঠানো হয়েছে। এখনও তার কোনও রিপোর্ট এসে পৌঁছায়নি। তাই নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। সমস্ত রকম সর্তকতা অবলম্বন করে মৃত ওই ব্যক্তির সঙ্গে যারা যোগাযোগের মধ্য়ে ছিলেন বা আছেন তাদের সকলকে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি যথোপযুক্তভাবে ওই ব্যক্তির দেহেও কবরস্থ করা হবে"।

দোলে কুকুরের গায়ে রং দিলেই করতে হবে হাজত বাস, জানাল লালবাজার

স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি কর্মসূত্রে সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে সাফাই কর্মীর কাজে যুক্ত আছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও মধুমেহ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শ্বাসকষ্টজনিত কষ্ট ছিল তার মধ্যে। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,শনিবারই সৌদি আরব থেকে দমদম বিমানবন্দরে নেমেছিলেন মুর্শিদাবাদের ওই যুবক । পরে ধর্মতলা পৌঁছে সেখানে খাওয়া-দাওয়া করে সড়ক পথে বাসে চেপে মুর্শিদাবাদে এসে পৌঁছন তিনি। 

রবিবার সকাল থেকেই শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয় তার শরীরের। তড়িঘড়ি কালবিলম্ব না করে পরিবারের লোকজন তাকে ভর্তি করে বহরমপুর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে একটি আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখার ব্যবস্থা করে।এরপরই তার শরীরে নোভেল করোনার জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে, এই সন্দেহে একাধিক শারীরিক পরীক্ষা হয়। রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় বেলেঘাটায়।এরপরই শারীরিক অসুস্থতা ক্রমশ বাড়তে থাকে আক্রান্তের। একদিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যেমন দেখা দেয়, তেমনি অন্যান্য নানান উপসর্গ দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় সৌদি আরব ফেরত মুর্শিদাবাদের বাসিন্দার।