সংক্ষিপ্ত

  • জেএনইউ হামলার প্রতিবাদে সরব অমর্ত্য সেন
  • তাঁর মতে গোটা বিষয়ে ন্য়ায়বিচারের অভাব স্পষ্ট
  • তাঁর মতামত-কে উড়িয়ে দিলেন রাহুল সিনহা
  • নাগরিক আইনেরও বিরোধিতা করেছেন নোবেল বিজয়ী

 

জেএনইউ কাণ্ড নিয়ে এবার সরব হলেন অমর্ত্য সেন-ও। বুধবার তিনি কলকাতায় পা রেখে বিমানবন্দরেই মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। সেখানেই রবিবার রাতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোশধারীদের হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন গোটা ঘটনায় ন্য়ায়বিচারের অভাব স্পষ্ট। তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা জানিয়েছেন অমর্ত্য সেন 'স্বাভাবিক' নাগরিক নন। তাই তাঁর মতামতের কোনও গুরুত্ব নেই।  

এদিন, বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেএনইউ প্রসঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জানান, জেএনইউ-এর ঘটনা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। বাইরে থেকে আসা একদল দুষ্কৃতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের গায়ে হাত তুললেন। তারপর থেকে তিনদিন কেটে গেলেও পুলিশ তাদের একজনকেও গ্রেফতার করতে পারল না। উল্টে যাঁরা আক্রান্ত হলেন, তাঁদের নামেই দুদিন আগের এক ঘটনা টেনে এনে এফআইআর দায়ের করা হল। পর পর ঘটনাগুলি সাজালেই বোঝা যাচ্ছে এই ঘটনায় ন্যায় বিচারের অভাব রয়েছে।

এরপরই বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, অমর্ত্য সেন কী বললেন তা এখন আর কেউ গুরুত্ব দেয় না। কারণ তিনি কোনও সাধারণ নাগরিক নন, স্বাভাবিক নাগরিক নন। তিনি একটি বিশেষ মতের সমর্থক। তাই তাঁর বক্তব্য, মতামত একপেশে হবে, এটাই স্বাভাবিক। কাজেই তাঁর মতামতের কোনও গুরুত্ব নেই।

কলকাতায় পা দেওয়ার আগে, অমর্ত্য সেন, বেঙ্গালুরুতে ইনফোসিস সায়েন্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত ইনফোসিস প্রাইজ ২০১৯-এ যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি জানান, সিএএ সাংবিধানিক বিধান লঙ্ঘন করছে। তাঁর মতে, এই আইন অসাংবিধানিক বলে সুপ্রিম কোর্টের বাতিল করে দেওয়া উচিত। কারণ নাগরিকত্বের মতো মানুষের মৌলিক অধিকারে ধর্মীয় ভেদাভেদ টানা যায় না।