সংক্ষিপ্ত
কয়লা পাচারকাণ্ডে বিনয়কে চারবার তলব করেছিল ইডি। কিন্তু, একবারও তিনি হাজিরা দেননি। তাঁর কোনও খোঁজই পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সেই মতো দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে আবেদন করেছিল ইডি।
কয়লা (Coal Scam) ও গরু পাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling) তাঁকে একাধিকবার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হয়নি। একবারও তিনি হাজিরা দেননি। তাই এবার এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের (Vinay Mishra) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট (Delhi Court)। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) আবেদনের ভিত্তিতে জামিন আযোগ্য ধারায় পরোয়ানা (Non bailable warrant ) জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বিনয়। তাই তাঁকে ফেরাতেই এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাঁকে দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে এই পরোয়ানা সুবিধা দেবে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
কয়লা পাচারকাণ্ডে বিনয়কে চারবার তলব করেছিল ইডি। কিন্তু, একবারও তিনি হাজিরা দেননি। তাঁর কোনও খোঁজই পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সেই মতো দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে আবেদন করেছিল ইডি। সেই অনুযায়ী বিনয়ের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেন বিচারপতি পঙ্কজ শর্মা।
আরও পড়ুন- গড়িয়াহাটে জোড়া খুন, একতলায় বাড়ির মালিক ও দোতলায় উদ্ধার গাড়ি চালকের রক্তাক্ত দেহ
কয়লা ও গরুপাচার কাণ্ডে ইডির সঙ্গে সমান্তরাল তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। তাই ইতিমধ্যেই বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করতে চেয়েছে তারা। ইন্টারপোলে নোটিস পাঠানোর আর্জিও জানানো হয়। জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর এবার তাঁর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিসও জারি করা হবে বলে অনুমান।
বিনয় মিশ্র ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছেন যে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। এখন তিনি দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুরের বাসিন্দা। এদিকে প্রথম রেড কর্নার নোটিস যেহেতু ভারতীয় হিসেবে জারি হয়েছে, তাই তিনি ভারতে না থাকায় তাঁকে এই নোটিসের মাধ্যমে দেশে ফেরানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। তাই এবার ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হতে চায় সিবিআই।
আরও পড়ুন- ইটাহারে বিজেপি নেতা 'খুনে' নয়া মোড়, দুষ্কৃতী নয় নিজের বন্দুকের গুলিতেই মৃত্যু মিঠুনের
উল্লেখ্য, কলকাতার রাসবিহারী এলাকার বিনয় মিশ্রের একটি বাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। প্রায় ৩কোটি টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল বাড়িটি। এই মামলায় একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মনে করছে, গরু পাচারের বেআইনি কারবারের টাকা বিনয় মিশ্রের মাধ্য়মে নির্দিষ্ট কয়েকজন প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছে যেত। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সতীশ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিনয় মিশ্রর নাম উঠে আসে।
আরও পড়ুন- বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই নেই, লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত জারি থাকবে দুর্যোগ
প্রসঙ্গত, একটা সময় তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদে ছিলেন বিনয়। কিন্তু, এই মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই তিনি বেপাত্তা হয়ে যান। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা। আর সেই কারণেই ভানুয়াতুর থেকে তাঁকে দেশে ফেরাতে মরিয়া চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি।