সংক্ষিপ্ত
- মানসিক অবসাদে ভুগছেন ফিরহাদ
- করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছেন না
- মানুষের জন্য কাজ করতে পারছেন না
- এই ভাবনা থেকেই মানসিক অবসাদ ফিরহাদের
করোনা পরিস্থিতিতে কত মানুষ অসহায়। তাঁদের জন্য কাজ করতে পারছেন না। বহু মানুষ তাঁর সাহায্যের আশায় রয়েছে, তাঁদের পাশেও দাঁড়াতে পারছেন না তিনি। আপাতত এই ভাবনাতেই যন্ত্রণাবিদ্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জেলে বসে কার্যত মানসিক অবসাদে ভুগছেন তিনি।
সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সোমবার রাতে জামিন খারিজ হওয়ায় প্রেসিডেন্সি জেলে রাত কাটাতে হয় ফিরহাদকে। সোমবার রাত থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছেন ফিরহাদ। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করে এমনই জানিয়েছেন তাঁর ছোট মেয়ে সাবা।
সাবার বয়ান অনুযায়ী প্রেসিডেন্সি জেলে এখন একাই রয়েছেন ফিরহাদ। তাঁর আইনজীবীর কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ফিরহাদের শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তার জ্বর রয়েছে। সোমবার রাতে সেরকম কিছু খাননি তিনি। তবে তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
সাবা আরও জানিয়েছেন মানসিক অবসাদের ফলে সোমবার সারারাত ঠিকভাবে ঘুমাতেও পারেননি ফিরহাদ হাকিম। এদিন ফিরহাদের ছোটো মেয়ে সাবা তাঁর সাথে প্রেসিডেন্সি জেলে দেখা করতে আসেন। এদিকে, মঙ্গলবার ভোররাতে হাসপাতালে ভর্তি করতে হল মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। দুই জনেই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা এবং বেশকিছু ক্রণিক স্বাস্থ্য সমস্যা বেড়ে ওঠার অভিযোগ করেন।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়েরও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হচ্ছিল। ফলে, ভোর ৩টে ৪০ মিনিটে মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মদন মিত্রকে উডবার্ন বিভাগের ১০৩ নম্বর ঘরে এবং শোভনকে উডাবার্নেরই ১০৫ নম্বর রুমে রাখা হয়।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থাও খতিয়ে দেখেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী জানিয়ে দেন তিনি প্রেসিডেন্সির জেল হাসপাতালেই চিকিৎসা করাবেন। তবে পরে বেলা গড়াতেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। অসুস্থতা বাড়তে থাকে। তাঁকে এসএসকেএমের উডবার্ণ বিভাগে ভর্তি করা হয়।