সংক্ষিপ্ত

সোমবার (Monday) রাজ্যে বনধের (Strike) ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। নবান্নের (Nabanna)তরফ থেরে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হল কোনও স্ট্রাইক হবে না সবকিছু স্বাভাবিক থাকবে। জোর করে বনধ কার চেষ্টা করলে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রবিবার রাজ্যের ১০৮টি পুরসভা নির্বাচনে ( WB Municipal Election 2022) দিনভর সন্ত্রাসের অভিযোগো সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি-বাম-কংগ্রেস সকলেই অভিযোগ করেছে গণতন্ত্র লুঠ হয়েছে, নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। যদিও রাজ্যের শাসক দলে পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ভোট হয়েছে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ।  রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয়ও জানিয়েছেন, মোটের উপর ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কিন্তু রবিবার বিকেলে পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে সোমবার রাজ্যে ১২ ঘণ্টার বনধের (Strike) ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। রাজ্য সরকার যে কোনও মতেই এই বনধ মানবে না তা পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নবান্নের (Nabanna)তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে রবিবার সবকিছু সম্পর্ণ স্বভাবিক থাকবে। 

বিজেপির বনধ ডাকার পর রবিবার রাতে জরুরি বৈঠক ডাকা হয় নবান্নতে। । সমস্ত জেলাশাসক, সব পুলিশ জেলার সুপার এবং কমিশনারেটগুলির কমিশনারদের নিয়ে এই বৈঠকে ছিলেন মুখ্য সচিব। নবান্নের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, বন্‌ধের কারণে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন ও জীবিকায় প্রভূত প্রভাব পড়ে। এই সংস্কৃতি রাজ্য সরকারের ‘নীতিবিরুদ্ধ’। তাই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রোজকার মতোই সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, দোকান, বাজার, কারখানা সবই স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। যান চলাচলও স্বাভাবিক রাখা হবে। বন্‌ধের কারণে কোনও সরকারি কর্মচারী ছুটি পাবেন না। যদি কোনও কর্মী অনুপস্থিত থাকেন, তা হলে তাঁর বেতন কাটা যাবে। রাজ্য সরকারের স্পষ্ট বার্তা, বন্‌ধ সফল করতে গিয়ে কোনও ভাবে সরকারি  ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কারখানা, বাজার, দোকান খোলার ক্ষেত্রে যদি বাধা দেওয়া হয় এবং স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়, তা হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

তবে সোমবার বনধ সফল করতে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির তরফ থেকে রাস্তায় নামার কথা বলা হয়েছে। বনধকে সফল করতে সর্বোতভাবে পদ্ম শিবির ময়দানে নামতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যার ফলে বলপূর্বক বনধ সফল করার চেষ্টা করা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে রাজ্য সরকার। পরিবহণ ব্যবস্থাও আর পাঁচটা দিনের মতই স্বাভাবিক রাখার কথা বলা হয়েছে। শুধু সরকার নয়, বনধের বিরোধীতায় সোমবার রাস্তায় নামার কথা বলা হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি-র ডাকা এই বন্‌ধের আমরা বিরোধিতা করছি। আগামী কাল সব কিছু সচল থাকবে। সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলে, এমন কোনও কিছুকে আমরা সমর্থন করি না। মানুষকে বিপদে ফেলে অর্থনীতি ধ্বংস করা এই বন্‌ধের আমরা সম্পূর্ণ বিরোধিতা করি।” শুধু তা বিকেলে তৃণমূলের তরফ থেকে মিছিলের কথাও ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফলে বনধকে কেন্দ্র করে সোমবার ফের একবার চড়তে পারে বাংলার রাজনীতির পারদ।