আবারও রবিনসন স্ট্রিটে ছায়া রবিনসন স্ট্রিটের পুনরাবৃত্তি সরশুনায় বাবার পচা গলা দেহ আগলে রাখল মেয়ে  পচা গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেয় 

আবারও রবিনসন স্ট্রিটে ছায়া। এবার রবিনসন স্ট্রিটের পুনরাবৃত্তি সরশুনা সরকার হার্ট লেনে । মৃত বাবার পচা গলা দেহ দুদিন ধরে আগলে রাখল মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে। বুধবার সকালে পচা গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দিলে সরশুনা থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ।

সূত্রের খবর, বাবা ও মেয়ে নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায় এক সঙ্গে থাকতেন । দু'বছর আগে পরিবারে মারা গিয়েছেন মা ও দাদা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাবা রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্য়ায়ের (৯০ বছর) বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যায় দুদিন আগেই। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে ।মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হসপিটালে। ঘটনা স্থলে সরশুনা থানার পুলিশ।

তবে চট্টোপাধ্যায় পরিবারে এটা কোনও নতুন ঘটনা নয়। এর আগে আবাসনের ৩ তলায় ছেলে দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়ের মৃতদেহ আগলে রাখার অভিযোগ ওঠে বাবা মা ও বোনের বিরুদ্ধে। পরবর্তীকালে পচা গন্ধ বের হতে থাকলে এলাকার মানুষজন সরশুনা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে ওই দেহ উদ্ধার করে। সেই সময় পুলিশ দাবি করে,দেবাশিসবাবু দু-তিনদিন আগে মারা গিয়েছেন। একই অবস্থা হয় রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্য়ায়ের স্ত্রীর। এবার সেই একই অবস্থা হল রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্য়ায়ের।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তির বাবা আরএন চট্টোপাধ্যায় কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও মেয়ে পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্যহীন। কলকাতার পুলিশ ডায়েরি ঘাঁটলে দেখা যাবে, কয়েক বছর আগে রবিনসন স্ট্রিটে দিদির মৃতদেহের সঙ্গে ৬ মাস বাস করেছিলেন পার্থ দে। মানসিক ভারসাম্যহীনতার এই বিরল কাণ্ডে সংবাদ শিরোনামে চলে আসে রবিনসন স্ট্রিট। পরবর্তীকালে প্রায় একই কাণ্ড দেখা যায় বেহালায়, সেবার মায়ের পেনশন তোলার জন্য় ফ্রিজারে দেহ আগলে রেখেছিলেন ছেলে।