সংক্ষিপ্ত

শুক্রবার পেট্রোলের জন্য নতুন মূল্য ধার্য করেছে দেশের সরকারি তেল সংস্থা। আমজনতার কথা মাথায় রেখে এদিনও জ্বালানির দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।  

শুক্রবার পেট্রোলের জন্য নতুন মূল্য ধার্য করেছে দেশের সরকারি তেল সংস্থা (Indian Petrol Organisation)। আমজনতার কথা মাথায় রেখে এদিনও জ্বালানির দাম  (Petrol and Diesel Price) অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অক্টোবার মাসে লাগাতার জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধির পর চলতি মাসে টানা ২০ দিন দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিন কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রেলের দাম ১০৪ টাকা ৬৭ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৮৯ টাকা ৭৯ পয়সা। এদিন দেশের অন্য রাজ্য গুলির মধ্যে দিল্লিতে লিটার প্রতি পেট্রেলের দাম ১০৩ টাকা ৯৭ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৮৬ টাকা ৬৭ পয়সা। চেন্নাইতে লিটার প্রতি পেট্রেলের দাম ১০১ টাকা ৪০ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৯১ টাকা ৪৩ পয়সা। মুম্বইতে লিটার প্রতি পেট্রেলের দাম ১০৯ টাকা ৯৮ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৯৪ টাকা ১৪ পয়সা। প্রসঙ্গত, মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম লিটার প্রতি যথাক্রমে ১৩ টাকা এবং ১৬ টাকা করে বেড়েছিল। এর প্রভাব পড়ছিল বাজারদরেও। পেট্রোলের দাম  কিছু রাজ্যে লিটার প্রতি ১২০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। তার পিছনে পিছনেই ছিল ডিজেলও। পেট্রোল ১০০ পার করতেই সেঞ্চুরি হাঁকিয় ডিজেলেও কলকাতা সহ একাধিক শহরে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার আবগারি শুল্ক কমানোর পর সব রাজ্যের তেলের দামের উপর তার প্রভাব পড়ে। দিওয়ালির আগেই পেট্রোলে প্রতি লিটারে ৫ টাকা এবং ডিজেলের উপর ১০ টাকা করে আবগারি শুল্ক  কমানোর ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরেই বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে জ্বালানির দাম কমলেও বিজেপি বিরোধী রাজ্যেগুলিতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম না কমার ইস্যু চাপ বাড়তে থাকে। 

আরও পড়ুন, Weather Report: আজও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০-র নিচে, সোনা রোদ শহরে, প্রবল বর্ষণ দক্ষিণ ভারতে

কেন্দ্রীয় সরকার তালিকা প্রকাশ করে জানিয়েছে, ২২ রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল কেন্দ্রের শুল্ক কমানোর পর নিজেদের ভ্য়াট কমিয়েছে। কিন্তু সেই পথে হাঁটেনি পশ্চিমবঙ্গ। আর এরপরেই 'মমতার এরাজ্যে কোনও মন নেই', তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, সামনেই গোয়া, ত্রিপুরা বিধানসভা ভোট। আর সেই দিকে তাক করেই নিশানা বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতির। যদিও তৃণমূলের মুখপত্র  কুণাল ঘোষ বলেছেন,  ' পেট্রোপণ্য থেকে কেন্দ্রীয় সরকার তো বেশি কর পায়। সেখান থেকে কর কমালে কেন্দ্রের কোষাগারে চাপ পড়ে না। কিন্তু রাজ্য কর কমালে তার চাপ কোষাগারে বাড়বে। তবু রাজ্যে যদি কর কমায়, তার জন্য সময় দিতে হবে।' যদিও ফিরহাদ আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেছেন, 'যেহেতু ভোট রয়েছে বিজেপির চারটে রাজ্য। বিজেপির উপনির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে। তার জন্যই পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমিয়েছে । ভোট হয়ে গেলে আবার  পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়বে।'