সংক্ষিপ্ত
হাতে পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়েই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন অনেকেই। তাঁদের দাবি, যোগ্যদের সরিয়ে অযোগ্যদের ফের ক্ষমতায় আনা হচ্ছে। এর জেরে দল আরও ডুববে। অযোগ্য রাজ্য নেতৃত্বের জন্য এই পরিস্থিতি।
প্রতিদিনই প্রকাশ্যে চলে আসছে রাজ্য বিজেপির অন্দরের দ্বন্দ্ব। তা নিয়ে আর কোনও লুকোচুরি থাকছে না। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধেই অনাস্থা দলের একাংশের। প্রকাশ্যে তা জানাতেও দ্বিধাবোধ করছেন না অনেকেই। এমনকী, এনিয়ে মুখ খুলেছেন খোদ দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও। দলের মধ্যে পুরোনোদের যাতে গুরুত্ব দেওয়া হয় সেই দাবি তুলেছেন তিনি। আর সেই লড়াই পড়েছে প্রতিটি জেলাতেই। ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে ক্ষোভের আঁচ। বৃহস্পতিবার বিজেপির সদর দফতরের সামনেই বিক্ষোভে সামিল হলেন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব।
হাতে পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়েই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন অনেকেই। তাঁদের দাবি, যোগ্যদের সরিয়ে অযোগ্যদের ফের ক্ষমতায় আনা হচ্ছে। এর জেরে দল আরও ডুববে। অযোগ্য রাজ্য নেতৃত্বের জন্য এই পরিস্থিতি। অমিতাভ চক্রবর্তী, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র মতো নেতাদের ফের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বিজেপিকে বাঁচাতেই হবে।
আরও পড়ুন- 'সুকান্তের অভিজ্ঞতা কম', বিজেপি নেতাদের পরপর পদত্যাগে বিস্ফোরক দিলীপ
তাঁদের অভিযোগ, সাংগঠনিক ক্ষেত্রে এমন লোকজনকে দায়িত্ব দিচ্ছেন সুকান্ত, তাঁরা সবাই অযোগ্য। অথচ যাঁরা দীর্ঘ দিন দলের হয়ে খেটেছেন, আঁটঘাট সব জানেন, তাঁদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। তাতেই সুকান্তর উপর ভরসা করা যাচ্ছে না বলে জানিয়ে দিলেন হুগলিতে বিজেপি-র একাংশ। তবে সুকান্তকে নিয়ে সরাসরি আক্রমণে না গেলেও, তাঁর যোগ্য লোকজনকে বাদ দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন, 'শিল্পপতি কি ওনার ভাইপো, ভয় পাচ্ছেন কেন', এজেন্সি ইস্যুতে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর
দিলীপের কথায়, "সুকান্ত সবে দায়িত্ব পেয়েছেন। ওঁর অভিজ্ঞতা কম। যাঁরা এতদিন আন্দোলন করেছেন, তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। যাঁদের বিশ্বাস করে মানুষ রাস্তায় নেমেছেন, গুরুত্ব দেওয়া উচিত তাঁদের। যোগ্য লোকদের বাদ দিলে হবে না। তাঁদের অভিজ্ঞতার সুফল কুড়োতে হবে।" তবে দিলীপের মন্তব্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন, 'যারা পুড়িয়ে মেরেছে, তাঁরা জেলে বহাল তবিয়তে আছে', বগটুইকাণ্ডে নাম জড়াল ডেপুটি স্পিকারের
তবে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বাইরে থেকে দু'দিন আগে যাঁরা বিজেপি-তে গিয়েছেন, তাঁরা ছড়ি ঘোরাবেন, আর পুরনোরা কোণঠাসা হয়ে থাকবেন, এমনটা চলতে পারে না বলে জানান কুণাল। তাই এমনটা যে হতে চলেছে তা আগে থেকেই জানতেন বলে জানান তিনি। কুণালের কথায়, "তৃণমূলকে নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে, সুকান্তবাবুর উচিত, দিলীপবাবুর পাঠশালায় গিয়ে রাজনীতির অ,আ,ক,খ শেখা। দল কী ভাবে চালাতে হয়, কী ভাবে জনসংযোগ করতে হয়, দরজায় দরজায় ঘুরে মানুষের কাছে পৌঁছনো যায়, এ সব শেখা উচিত ওঁর।"