সংক্ষিপ্ত

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর সূত্রের খবর, পার্থ আর অর্পিতাকে মুখোখুমি জেরা করা হয়েছে। সেই সময়ই টিভির স্ক্রিন 

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আট থেকে আশি এই এই নামটির সকলে সকলেই কমবেশি পরিচিত। বর্তমানে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় রয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে। তাঁরই একের পর এক ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হচ্ছে  রাশি রাশি নোটের তোড়া। ইডির অধিকারিকদের মতে টাকা অঙ্কে উদ্ধার হওয়া নগদের পরিমাণ ৫০ কোটি। টেলিভিশনের পর্দায় নিজের ফ্ল্যাটবাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া পাহাড় পরিমাণ টাকার অঙ্ক দেখে রীতিমত উত্তেজিত অর্পিতা। তাঁর হাবভাব এমন যেন তিনি রাশি রাশি টাকার কথা জানতেনই না।  ইডি সূত্রের খবর তেমনই। 

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর সূত্রের খবর, পার্থ আর অর্পিতাকে মুখোখুমি জেরা করা হয়েছে। সেই সময়ই টিভির স্ক্রিন জুড়ে টাকার পাহাড়ের ছবিও তাদের দেখান হয়। যা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা। একটা সময় তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেন, 'স্যার এতো টাকা আমার বাড়িতে রাখা হয়েছিল?' এডি সূত্রের খবর তারপরই অর্পিতা তদন্তকারী আধিকারিকদের দিকে তাকিয়ে বলেন, 'স্যার, আমার নামে সম্পত্তি কোম্পানি রয়েছে। কিন্ত আসলে আমি কোনওটারই মালিক নই। আমি একজন বেতনভুক কর্মীমাত্র।' এই সময়টাও নাকি চুপ করে ছিলেন পার্থ।  তিনি আরও বলেন তিনি এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির কেয়ারটেকার । তিনি আরও বলেন,  'এত টাকার কথা আমি জানতাম না। বিশ্বাস করুন!' তিনি আরও বলেন, 'এই এত পরিমাণ টাকাতে হাত দেওয়ার অধিকার ছিল না আমার। গয়নাতেও হাত দেওয়ার অধিকার ছিল না।' এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জানিয়েছে, টালিগঞ্জ আর বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর গয়না ও প্রচুর নথি। 

ইডি সূত্রের খবর বুধবারই অর্পিতা বলেছিলেন তাঁর বাড়়িতে যে টাকা রয়েছে  সেগুলি তাঁর হাত দেওয়ার অধিকারছিল না। প্রথম থেকেই অর্পিতা টাকার বিষয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছিলেন। কারণ প্রথম দিনই জেরায় অর্পিতা নাকি বলেছিলেন তাঁর ফ্ল্যাটে যে টাকা  রয়েছে সেগুলি সবই পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থই তাঁকে টাকা রাখতে দিয়েছিলেন। এছাড়াও অর্পিতা বলেছিলেন, তিনি টাকার কথা জানতেন না। পার্থর কর্মীরাই সেই টাকা রেখে যেত ও প্রয়োজনে নিয়ে যেত। চাবিই তার কাছে থাকত না। 

তদন্তকারীদের অনুমান টাকার বিষয়ে অর্পিতা সব দায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘাড়ে চাপিয়ে পার পেতে চাইছে। তাই অর্পিতার সম্পত্তি যাচাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে। অর্পিতার বয়ানের ওপর ভিত্তি করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বুধবার লাগাতার জেরা করা হয়েছে। কিন্তু পার্থ এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। 

ইডি সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের কনফারেন্স রুপে অর্পিতা আর পার্থকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। মাঝে মাঝেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে পার্থ ছিলেন পুরোপুরি শান্ত। 

ইডি সূত্রের খবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয় পর্ব নিয়েও মুখ খুলেছেন অর্পিতা। তিনি বলেছেন, কয়েক বছর আগে তিনি যখন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ছিলেন তখনই কয়েক জন বন্ধুর মারফত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আপাল হয়। ডায়মন্ড সিটিতে তাঁর থাকার ব্যবস্থাও করেদেন পার্থ। তারপর থেকেই ঘনিষ্টতা বাড়ে। একটা সময় তিনি পার্থর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিতি পান। তবে তার আগে থেকেই পার্থর একাধিক সম্পত্তির হিসেবরক্ষকের কাজ করছেন। অর্পিতার অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে আধার আর প্যান কার্ডও নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। 

মশার কামড়ে অতিষ্ট প্রতিবাদী, সাসপেন্ড সাংসদদের ৫০ ঘণ্টার ধর্না মঞ্চে মশারি

পার্থ ইস্যুতে ড্যামেজ কন্ট্রোলে আসরে অভিষেক, SSC চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে হতে পারে বৈঠক

পার্থ যেন বাবা নিরালা আর অর্পিতার অবস্থা টিঙ্কা সিং, এসএসসি দুর্নীতিতে এখন পপুলার ওয়েব সিরিজের ছায়া