সংক্ষিপ্ত
মিঠুন বলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন না যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সমস্ত অর্থ রয়েছে। মিঠুনের সন্দেহ, উদ্ধার হওয়া টাকা অন্য কারোর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিশ্চয়ই সেই টাকার কাস্টডিয়ান ছিলেন, তার মুখ খোলা উচিত। শুধু শুধু কারাগারের হাওয়া তিনি কেন খাবেন?
পার্থ ইস্যুতে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা বিজেপি নেতা ও অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর। বৃহস্পতিবার মিঠুন চক্রবর্তী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে কেলেঙ্কারিতে জড়িত ব্যক্তিদের নাম এবং অর্থের আসল মালিকের নাম জানানোর কথা বলেন। তিনি বলেন, কেন অন্যের দোষ ঘাড়ে নিচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই অর্থর আসল মালিকের নাম বলে দিলে আর কারাবাস ও কষ্ট ভোগ করতে হবে না পার্থকে।
মিঠুন বলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন না যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সমস্ত অর্থ রয়েছে। মিঠুনের সন্দেহ, উদ্ধার হওয়া টাকা অন্য কারোর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিশ্চয়ই সেই টাকার কাস্টডিয়ান ছিলেন, তার মুখ খোলা উচিত। শুধু শুধু কারাগারের হাওয়া তিনি কেন খাবেন?
এদিকে, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় গ্রেফতার তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একের পর এক বাড়ি থেকে নগদে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা। শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টের কড়া নির্দেশের পর তদন্তে সক্রিয় ইডি, রাজ্য জুড়ে নজরদারি চলছে শাসকদলের একের পর এক নেতা মন্ত্রীদের ওপর। অথচ, বাংলার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা এখনও সেই তিমিরেই।
মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বঞ্চনার প্রতিবাদে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে প্রতিবাদ করতে করতে চাকরিপ্রার্থীরা কাটিয়ে ফেলেছেন প্রায় ৫০০ দিন। অবশেষে ৫০১ দিনের দিন তাঁদের চোখে কিঞ্চিৎ আশার আলো। যদিও আন্দোলনকারীদের অভিযোগ এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসে প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও এখনও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কাজে তেমন কোনও গতি নেই।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের মহাসচিব পদ, শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভাপতি এবং পরিষদীয় দলনেতার পথ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পদে ছিলেন। পাশাপাশি দুটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্বও ছিল তাঁর হাত। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে যাতে দ্রুত মন্ত্রিত্ব ও দলের সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তার দাবি করেছিলেন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।