সংক্ষিপ্ত

অর্পিতা স্বীকার করলেন যে  তার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হাওয়া  বিপুল পরিমান নগদ অর্থ  পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরই।ইডির তদন্তে   উঠে এলো আরও  এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

২৩ সে জুলাই পার্থ  চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির পর কেটে গেছে ৫৮ টি দিন। অবশেষে অর্পিতা স্বীকার করলেন যে  তার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হাওয়া  বিপুল পরিমান নগদ অর্থ  পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ইডির তদন্তে   উঠে এলো আরও  এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ।তাদের দাবি  শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রধান অভিযুক্ত পার্থ  চট্টোপাধ্যায় অবৈধ ভাবে ওই টাকাগুলি   উপার্জন করেছিলেন।  বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন তিনি , যার ফলস্বরূপ গড়ে ওঠে তার এই বিশাল সম্পত্তির মালিকানা। 

সোমবার, স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত  পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ইডি প্রথম চার্জশিট দাখিল করে।
সেখানে তাদের স্পষ্ট  দাবি অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে যে নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে তাতে  শুধু এসএসসি দুর্নীতিরই  টাকা নেই , রয়েছে আরও  অনেক বেআইনি কার্যকলাপের টাকাও। ইডি আরও অভিযোগ যে তাদের কাছে  প্রমাণ রয়েছে যে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০  কোটি টাকা পুরোপুরি পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরই।  

ইডি এই  চার্জশিটে আরো বলেন যে  পার্থ চ্যাটার্জি সুবিধা বঞ্চিত লোকদের শোষণ করতেন  এবং তাদের সম্মতি ছাড়াই তাদের বড়ো বড়ো  কোম্পানির ডামি  ডিরেক্টর বানিয়ে রাখতেন। ইতিমধ্যেই ইডি এইরকম প্রায় ৬ টি কোম্পানির হদিস পেয়েছে এবং ওই কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটও  পেশ করেছে। অনন্ত টেক্সফ্যাব প্রাইভেট লিমিটেড, সিম্বিওসিস মার্চেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড, ভিউমোর হাইরাইজ প্রাইভেট লিমিটেড,  সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড এবং ইছা এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড - হলো সেই  কোম্পানিগুলির মধ্যেই  অন্যতম। 

পার্থ চ্যাটার্জি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি কোম্পানি, অনন্ত টেক্সফ্যাব  যে ঠিকানায় ছিল  যেখান থেকে ইডি ২৭.৯০ কোটি টাকা নগদ অর্থ  এবং ৪.৩১ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করেছে৷তাদের আরো দাবি যে এই কোম্পানিগুলির অফিসিয়াল একাউন্ট শুধুমাত্র টাকা জমা রাখার জন্যই নয়  অন্যান্য তথ্য প্রমান পাচারের কাজেও ব্যবহৃত হতো।