সংক্ষিপ্ত
- বেলুড় মঠের অনুষ্ঠানের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সিএএ ভাষণ
- রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে মঠকে
- এ নিয়ে মোদীকে তোপ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের
- রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তনীদের বিষয়টি দেখতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী
বেলুড় মঠের অনুষ্ঠানের মঞ্চকে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা নিয়ে মোদীকে তোপ পার্থর। এদিন বেলুড় মঠে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে এই ঘটনাকে ধিক্কার জানাই, নিন্দা করি। এটা কখনোই রামকৃষ্ণ মিশনের সংস্কৃতি ও আদর্শের সঙ্গে খাপ খায় না। বেলুড় মঠে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক বক্তৃতা দেওয়া, মঞ্চ ব্যবহার করা কে আমি প্রতিবাদ জানাই, এটা অত্যন্ত অমর্যাদাকর হয়েছে। যেখানে আজকে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন সেই নিয়ে না বলে তিনি নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে তার রাজনৈতিক মতামত ব্যক্ত করেছেন, রাজনৈতিক বক্তব্যের জন্য এটা সঠিক জায়গা নয়। আমরা যারা প্রাক্তনী আছি, তাদেরকে বলব এটা রামকৃষ্ণ মিশনের দৃষ্টিগোচরে আনতে তিনি যেই হোক না কেন।
বিরোধীদের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা নাগরিক আইন সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন প্রশ্নের উত্তর পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, শ্রদ্ধেয় নরেন্দ্র মোদি নিজেই রামলীলা ময়দানে বলেছেন আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। ২০১৪ সাল থেকে এ নিয়ে কোনও চর্চা হয়নি। যেদিন এই বিল পাস হলো তিনি নিজেই পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন না। এই বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি ছড়াচ্ছেন। এ রাজ্যে যে ভাষায় নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন আসুক না কেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সরকার নাগরিকত্ব আইন তো হতে দেবে না। নাগরিকত্ব আইন যে নামেই আসুক না কেন. নাগরিককে নতুন করে উদ্বাস্তু বানানোর যে প্রচেষ্টা তার বিরুদ্ধে তারা থাকবেন। তিনি আরও বলেন, যে বারবার ভুল বোঝানোর প্রচেষ্টা না বলে দিলীপবাবুরা একটা বিতর্ক সভা ডাকুন, আমি তাতে রাজি আছি। এটা সম্পূর্ণভাবে মানুষকে নতুন করে উদ্বাস্তু করার আইন, আমরা তার বিরোধিতা করি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বপ্রথম এর বিরোধিতা করেছেন।
রবিবার বেহালা সরশুনা ষষ্ঠীর মোরে বাহাদুর মাঠে বেহালা পশ্চিম এমএলএ কাপ ২০২০-র উদ্বোধন করেন বেহালা পশ্চিম এর বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মালা রায় সহ বিশিষ্ট ফুটবলার এবং স্থানীয় পুরো প্রতিনিধিরা। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে বেহালার ছাত্র-যুব এবং ফুটবলপ্রেমীরা যথেষ্ট উৎসাহী এবং আনন্দ উপভোগ করেন। এই এমএলএ কাপের ফুটবলের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই খেলাকে কেন্দ্র করে যদি কোনও প্রতিভাবান ফুটবলারকে পাওয়া যায়, তার মানোন্নয়ন এর জন্য সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।