সংক্ষিপ্ত
সাগরস্নানে যাওয়ার আগেই বাবুঘাটে দুই পুণ্য়ার্থীর মৃত্য়ু ঘিরে রহস্য। আচমকা এই মৃত্য়ু কি কোভিডের কারণে হয়েছে, খতিয়ে দেখছে ময়দান থানার পুলিশ।
সাগরস্নানে যাওয়ার আগেই বাবুঘাটে দুই পুণ্য়ার্থীর মৃত্য়ু ঘিরে রহস্য। আচমকা এই মৃত্য়ু কি কোভিডের কারণে হয়েছে, খতিয়ে দেখছে ময়দান থানার পুলিশ। উল্লেখ্য রাত পেরোলেই গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান। কোভিড বিধি মেনেই সাগরের (Gangasgar) জলে ডুব দিয়ে পুণ্য অর্জন করতে কলকাতার বাবুঘাটে জড়ো হচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। এদিকে এতসব কিছুর মাঝেই অঘটন। পুণ্য়ার্থী শিবিরে উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত দুই পুণ্য়ার্থীর মৃত্য়ু হয়েছে। এরপরেই মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ (Maidan Police)।
বুধবার সকাল থেকেই নাকি ওই দুই পুণ্য়ার্থীর কোনও সাড়াশব্দ মিলছিল না। পরে পুলিশকে খবর দিলে, তাঁরা উদ্বার করে এসএসকেম-এ নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। দুই পুণ্য়ার্থীর মৃত্য়ু হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে হাসাপতালের চিকিৎসক। জানা গিয়েছে, ওই দুই পুণ্য়ার্থীর নাম শান্তি দেবী এবং নেত্রা পাল। এদিকে তাঁদের জ্বর হয়েছিল বলে দাবি শিবিরের অন্যান্য সদস্যদের। আর এরপরেই আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে কৃর্তৃপক্ষের।এদিকে ভরা কোভিড পরিস্থিতিতে এমনিতেই গঙ্গাসাগরে যাওয়ার আগে ৭২ ঘন্টা আগে করানো কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক। পুণ্য়ার্থী শিবিরে উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত দুই পুণ্য়ার্থী কী কোভিডের ওই বাধ্যমূলক পরীক্ষা করাননি। যদি করিয়েই থাকেন সেই পরীক্ষা রিপোর্টই বা কোথায় রয়েছে। যাবতীয় বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে ময়দান থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে কলকাতার বিভিন্ন স্টেশন, বাসস্ট্যান্ডে পুণ্যার্থীদের জন্য শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে কোভিড পরীক্ষা করানো হচ্ছে। বাবুঘাটে এবং শিয়ালদহ স্টেশনেও শিবির খোলা হয়েছে। এদিকে লাগামছাড়া কোভিড পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলসা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে চিকিৎসকদের। যদিও বহু জটিলতা কাটিয়ে শেষ অবধি হাইকোর্টের নির্দেশে গঙ্গাসাগর মেলা করার অনুমতি পেয়েছে। তবে গঙ্গাসাগর মেলায় সারা বাংলা তথা সারা দেশ থেকে কয়েক লক্ষ পূর্ণ্যার্থী আসেন। এই বিশাল বড়ো জমায়েতে কার্যত যে আরও ভয়াবহভাবে ছড়াতে পারে সংক্রমণ, তাই কোভিড পরীক্ষা পুণ্যার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তারপরেও আশঙ্কা যায়নি। আদৌ এই বিশালাকার পুণ্যার্থীর কোভিড বিধির কোনও গাফিলতি থেকে না যায়, সেজন্য কমিটি তৈরি করে নজর রাখছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এবারের এই দুই ভিনরাজ্যের মৃত্যুতে রীতিমতোই চিন্তা বেড়েছে। বিশেষ করে তাঁদের কোভিড রিপোর্ট পাওয়া গেলেই যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর মিলবে।