সংক্ষিপ্ত
- ভবানীপুরে হর্ন বাজানোর প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধকে খুন
- ঘটনার চারদিন পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ
- অভিযুক্ত তড়িৎ শিকদার আলিপুর আদালতের আইনজীবী
- তড়িৎবাবু আত্মসমপর্ণ করেছেন, দাবি তাঁর আইনজীবীর
লাগাতার হর্ন বাজানোর প্রতিবাদ করায় খাস কলকাতার ভবানীপুরে খুন হয়ে গিয়েছেন এক বৃদ্ধ। ঘটনার চারদিন পর অবশেষে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃত তড়িৎ শিকদার আলিপুর আদালতের আইনজীবী। ভবানীপুরেই থাকেন তিনি। অভিযুক্ত তড়িৎ শিকদারের আইনজীবীর অবশ্য দাবি, সোমবার সকালে তিনি নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমপর্ণ করেছেন। অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
মৃতের নাম রমেশ বহেল। বাড়ি, ভবানীপুরের বকুলবাগান রোডে। একটি বেসরকারি সংস্থার অন্যতম কর্ণধার ছিলেন রমেশবাবু। প্রতিদিন ভবানীপুর থেকে নিজের গাড়িতে করে কড়েয়া রোডে অফিসে যেতেন তিনি। মৃতের গাড়ির চালকের দাবি, গত বৃহস্পতিবার যখন বাড়ির সামনে থেকে গাড়িতে উঠছিলেন রমেশবাবু, তখন পিছন থেকে একটি লাল রঙের গাড়ি আসে। গাড়ির চালক লাগাতার হর্ন বাজাচ্ছিলেন। শেষপর্যন্ত ওই গাড়িটি রমেশ বহেলের গাড়িকে ধাক্কা মারে। গাড়ি থেকে নেমে ধাক্কা মারার কারণ জানতে চাইলে রমেশবাবুর সঙ্গে লাল রঙের গাড়ির চালকের বচসা শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন রমেশ বহেলকে সজোরে ধাক্কা মারেন ওই ব্যক্তি। রাস্তার পড়ে যান ওই প্রৌঢ়, জ্ঞান হারান তিনি। তড়িঘড়ি রমেশবাবু নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, ওই প্রৌঢ় মারা গিয়েছেন। পরে তাঁকে সরকারি মৃত বলে ঘোষণা করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
এদিকে এই ঘটনার পর ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের গাড়ির চালক বিজয় সাহানি। বস্তুত, যে গাড়িটির চালক রমেশ বহলকে থাপ্পড় মেরেছিলেন বলে অভিযোগ, সেই গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের শেষ চার নম্বরটি দেখতে পেয়েছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন অভিযোগকারী। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকলেও, রাস্তার অন্য প্রান্ত থেকে ফুটেজ দেখে লাল গাড়িটি চিহ্নিতও করেন তদন্তকারীরা।